স্যালাইনের তীব্র সংকট

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  মেহ্দী আজাদ মাসুম

রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে ডেঙ্গু রোগীকে স্যালাইন দেয়া বাধ্যতামূলক। ডেঙ্গুর এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেই দেশজুড়ে ‘স্যালাইনের তীব্র সংকট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছে।

 
# পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
# ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছালে সমস্যা আর থাকবে না।

- মো. সালাহউদ্দিন, পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট, চিকিৎসক সংকট, ওষুধ সংকট, রোগীদের স্বজনদের অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে স্যালাইনের। নির্ধারিত দামের চেয়ে তিনগুণ টাকা দিয়েও মিলছে না রোগীদের শিরায় দেয়ার এই স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের অবর্ণনীয় আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ। স্যালাইনের এই তীব্র সংকটকালে স্থবির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটু নড়েচড়ে বসেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হলেই চিকিৎসা সেবার গাইড লাইন অনুযায়ী রোগীর শিরায় স্যালাইন পুস করা হয়। অর্থৎ রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার রোগীকে স্যালাইন দিতেই হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্যালাইনের ‘তীব্র সংকট’ তাদের ভাবিয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন।

বিভিন্ন জেলায় শিরায় দেয়া স্যালাইনের সংকট চলছে। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা ছাড়াও খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৩ জেলার সরকারি হাসপাতালে শিরায় দেয়া স্যালাইনের সংকটময় পরিস্থিতি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। তাদের দেয়া তথ্য মতে, স্যালাইনের এই সংকটকালে এক শ্রেণির অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত ৭৮ টাকা (বড়দের জন্য) দামের স্যলাইন তিনগুণ দামে বিক্রি করছেন। গুদামে লুকিয়ে রাখা অবস্থা থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে তা বের করেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন হয় না। শিরায় দেয়া স্যালাইন উৎপাদন করে ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্যালাইন কিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ইডিসিএল সেসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ছয় কোম্পানি মাসে সাড়ে ৪৬ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করে। এর মধ্যে আছে সাধারণ স্যালাইন, গ্লুকোজ মিশ্রিত সাধারণ স্যালাইন ও কলেরার স্যালাইন।

জানতে চাইলে ইডিসিএলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন গতকাল আমার বার্তাকে বলেন, ‘আগস্টে আমরা সাড়ে আট লাখ ব্যাগ স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করেছি। সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনে সরবরাহ করেছি সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ।’

‘বাজারে কেন স্যালাইন সংকট চলছে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন গতকাল আমার বার্তাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেকগুণ বেড়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছালে সমস্যা আর থাকবে না।’

স্যালাইনের সংকট রোধে অভিযান চলছে :  

দেশে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবৃদ্ধিসহ এর কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।

স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সভাটির আয়োজন করা হয়। সভায় এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘দেশে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। কম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন করছে। সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই।


তবে কিছু ব্যক্তির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ বুধবারও সারা দেশে অভিযান চালানো হবে। এ বিষয় কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। স্যালাইনের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেয়া আছে, তার চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না।

বরিশাল অফিস : 
গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পুরো ওয়ার্ড রোগীতে ভরা। পিরোজপুর থেকে আসা মেহেদী হাসান (২৭) গত শুক্রবার এখানে ভর্তি হন। তার স্বজনরা জানান, ভর্তির দিন তার জন্য বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও হাসপাতালে কোনো স্যালাইন পাওয়া যায়নি। পরে  হাসপাতালের বাইরে থেকে ৩০০ টাকায় স্যালাইন কেনা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালেও সাধারণ স্যালাইন (এনএস) ও গ্লুকোজ-সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) উভয় স্যালাইনের মজুতে ঘাটতি পড়েছে।

ওষুধের দোকানগুলোতেও এই সংকট রয়েছে। সাগরদী এলাকার অন্তত চারটি ফার্মেসির মালিক ও ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহিন আমার বার্তাকে বলেন, ‘স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি আছে। আমরা ২০ হাজার স্যালাইন চেয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছি। এটা পেলে সংকট কেটে যাবে।’

বরিশালের এই হাসপাতালেই শুধু নয়, বিভাগের একাধিক জেলায় স্যালাইনের চরম ঘাটতি আছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাসকিয়া সিদ্দিকী আমার বার্তার প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালে এনএস, ডিএনএস, এই দুই ধরনের কোনো স্যালাইনই নেই।
বরগুনা শহরের অপূর্ব মেডিকেলের মালিক বিজন কান্তি জানান, চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও স্যালাইনের মজুতে ঘাটতি আছে বলে জানা গেছে। পিরোজপুরের নেছারাবাদ, বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও স্যালাইনের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। 

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এ বিষয়ে আমার বার্তাকে  বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের চাহিদা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। উৎপাদন ও সরবরাহ কিছু শ্লথ।’ তিনি বলেন, তারা সম্প্রতি প্রতিটি হাসপাতালের জন্য ৫০০ করে ১৮ হাজার ৫০০ স্যালাইনের চাহিদাপত্র দিয়েছেন। এটা পাওয়া গেলে সংকট থাকবে না।’ তবে কবে নাগাদ পাবেন, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।

চট্টগ্রাম অফিস : 

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি শয্যায় রোগীদের স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। হাটহাজারী থেকে আসা মো. মহিউদ্দিন নামের এক যুবক গত শুক্রবার ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হন। ডেঙ্গুর পাশাপাশি তার ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তাকে দুটি কলেরা স্যালাইন দেয়া হয়। মহিউদ্দিন বলেন, এই দুটি স্যালাইন তারা বাইরে থেকে কিনে এনেছেন।


অবশ্য হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, তার কাছে আরও কয়েক দিন চালানোর মতো স্যালাইন রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম জুড়ে স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করেন শামীম আহসান। 

সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা নিচ্ছে ‘আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল’ হাসপাতালে। এই হাসপাতালেও পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক মো. নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৫০০ কার্যাদেশ দিলে তারা দেয় ১০০টি। এভাবেই চলছে।’

স্থানীয় ওষুধ দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই বলে দাবি করেন বিক্রেতারা। ওষুধ দোকান মালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, কোম্পানিগুলো চাহিদামতো স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপপরিচালক এস এম সুলতানুল আরফিন আমার বার্তাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকায় স্যালাইনের সংকট আছে। স্যালাইন যা আসছে, তা দিনে দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।’

খুলনা অফিস : 
গতকাল মঙ্গলবার খুলনা থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়ায় ১০ দিনের মতো রোগীদের স্যালাইন সরবরাহ করা বন্ধ ছিল। তবে গত বুধবার তিন হাজার লিটার স্যালাইন বরাদ্দ পেয়েছে হাসপাতালটি। রোববার থেকে আবার রোগীদের স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনের সংকট নেই। হাসপাতালের স্টোরকিপার হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের এক মাস চলার মতো নরমাল স্যালাইন রয়েছে।

তবে সাতক্ষীরার নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থিত নাহিদ ফার্মেসির মালিক নাহিদ হোসেন আমার বার্তাকে বলেন, নরমাল স্যালাইনের সংকট আছে। জুলাইয়ে তাদের চাহিদার ৬০ ভাগ সরবরাহ করেছে একটি কোম্পানি।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন না থাকায় ভর্তি রোগীদের অনেককে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। হাসপাতালে ভর্তি দুজন ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের সামনের দোকান থেকে তারা স্যালাইন কিনেছেন।

বাগেরহাটে হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধের দোকানগুলোতে সব ধরনের স্যালাইনের স্বল্পতা চলছে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে। ওষুধের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কলেরা স্যালাইনের, যা প্রায় তিন মাস ধরে কোম্পানি থেকে সরবরাহ নেই।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে যে পরিমাণ স্যালাইন মজুত রয়েছে, তাতে আর ১০ দিন চালানো যাবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ  বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের জন্য নরমাল স্যালাইনের ঘাটতি রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য তিন শতাধিক স্যালাইনের ব্যাগ মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে অপসো স্যালাইন কোম্পানি লিমিটেডের খুলনার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. নূরুল ইসলাম খান আমার বার্তাকে বলেন, সাধারণ সময়ের চেয়ে নরমাল স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়েছে। হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আমার বার্তাকে বলেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছালে সমস্যা আর থাকবে না।


স্যালাইন সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আমার বার্তাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

এবি/ জেডআর