রাজশাহীতে ২ বোনের মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসে নয়

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

রাজশাহীতে মারা যাওয়া দুই বোন মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাসিয়া (৫) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দুই শিশুর মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসে হয়নি। তবে অন্য কোনো ভাইরাসে হয়েছে। যা আইসিডিডিআরবির পরীক্ষায় ধরা পড়েনি। ওখানে যে পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয় তাতে নিপাহ ছাড়া অন্য কোনো ভাইরাস হলে তা ধরা পড়ে না।’

ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, 'দুই বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তাদের মা-বাবাসহ মৃত বড় মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর শনিবার তা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রোববার বিকালে ঢাকা থেকে রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্টে নিপাহ ভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে অন্য কোনো ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। যা শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দুই শিশুর মৃত্যুর পর তাদের বাবা-মাকে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য রামেক হাসপাতালে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নিপাহ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বাচ্চার মা জ্বরে আক্রান্ত। আগামীকাল পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

১৩ ফেব্রুয়ারি বাগানের বরই খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মনজুর রহমানের দুই সন্তান পাঁচ বছরের মুফতাউল মাশিরা ও দুই বছরের মুনতাহা মারিশা। পরিবার জানায়, বাড়ির বাগান থেকে কাজের মেয়ে বরই কুড়িয়ে এনে মাশিরা ও মারিশাকে খেতে দেয়। তারা বরই না ধুয়েই খায়। এরপর তাদের জ্বর ও বমির পাশাপাশি শরীরে কালো ছোপের দাগ দেখা দেয়। এদের মধ্যে ছোট মেয়ে মারিশা ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বেসরকারি হাসপাতাল সিএমএইচ থেকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মায়ের কোলেই মারা যায়। এ ছাড়া রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকালে মারা যায় বড় মেয়ে মুফতাউল মাশিরা।


আমার বার্তা/এমই