ঢাকা মেডিকেলের লিফটে চার ঘণ্টা আটকা, উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের লিফটে আটকা পড়াদের দেড় ঘন্টা পর উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ চলে যায় এই ঘটনা ঘটে। পরে তিনটা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে লিফট থেকে তাদের বের করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিফ্টে আটকে পড়া একজন জানান, আমরা তৃতীয় তলা থেকে লিফটে করে নামার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লিফ্টের ভিতরে অন্ধকার কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। পরে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে লিফটের ভিতর থেকে লিফটম‍্যানকে ফোন দিলে আধা ঘন্টা পরে তিনি আসেন।তিনি দরজা খুলে দিলেও আমাদের নামার কোন উপায় ছিল না কারণ নিচতলা এবং দোতলার মাঝামাঝি লিফটে আটকে ছিল।পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয় এবং তারা আসলেও প্রথম প্রাথমিকভাবে আমাদের উদ্ধার করতে পারেনি ।পরে তারা আমাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আমরা ভিতরে প্রায় দেড় ঘন্টা রোগী-স্বজনসহ চারজন আটকা ছিলাম।

আটকে পড়া ওই লিফটের লিফটম্যান কবির জানান,আমি খবর পেয়ে চলে আসি। আসার পরে লিখে দরজা খুললেও এমন ভাবে লিফটটি রয়েছে দুই তলা এবং নিচ তলার মাঝখানে আমরা তাদের নামাতে পারছিলাম না।পরে ফায়ার সার্ভিস আসে এবং এর মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসে। পরে তাদেরকে বের করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মো.শাহজাহান শিকদার বলেন, আমাদের কাছে তিনটা তিন মিনিটে একটি ফোন আসে। ঢাকা মেডিকেলে পুরাতন ভবনের একটি লিফটের ভিতরে কয়েকজন আটকা পড়েছে। পরে সিদ্দিক বাজার থেকে আমাদের একটি ইউনিট ঢাকা মেডিকেলে যায় এবং আটকে পড়াদের লিফটের ভিতর থেকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী(বিদ্যুৎ) আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে দুপুরের দিকে ডিপিডিসি তাদের বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে। এতে করে আমাদের লিফটের ভিতরে থাকা কয়েকজন লিফটের ভিতরে আটকে যান। পরে আমাদের লিফটম‍্যানকে খবর দিলে সে এসে দরজা খুলে দিলেও তারা কোনোভাবেই নামতে পারছিল না। লিফটি নিচতলা এবং দোতালার মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে আমরা বিষয়টি ডিভিডি থেকে জানাই এবং তারা বিদ্যুৎ চালু করে দেন। এর মধ্যে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ও একটি টিম এখানে এসেছিল।পরে লিফটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হলে পরে আবার চালু করে দেয়া হয়। তবে এতে কেউ হতাহত বা আহত হয়নি।

আমার বার্তা/এম রানা/এমই