কুকুর বিড়ালের আঁচড়ে দ্রুত চিকিৎসার অভাবে যেসব রোগ হতে পারে
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

আমারা সবাই বাড়িতে কুকুর বা বিড়াল পুষে থাকি। অনেকেই ভাবেন, কুকুর বা বিড়াল আঁচড় দিলে তেমন কোনো ভয় নেই। অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগালেই হবে। কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে যেমন জলাতঙ্ক হতে পারে, তেমনি বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকেও সংক্রামক রোগ হতে পারে, যা মারাত্মক।
বিড়াল আঁচড়ে দিলে কী রোগ হয়?
বিড়ালের শরীরে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়, যার নাম ‘বোর্টোনেল্লা হেনসেলে’। বিড়ালের কামড়, আঁচড় বা অনেক সময়ে বিড়াল চাটলেও লালা থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ঢুকে পড়তে পারে মানুষের শরীরে। রক্তে মিশে খুব দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া। তার লক্ষণগুলোও মারাত্মক। বিড়ালের আঁচড়ে ‘ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজজ’ও হতে পারে।
এ ছাড়া আঁচড়ের জায়গাটি ফুলে উঠবে। সেখানকার গ্রন্থিগুলোতে প্রদাহ শুরু হবে, চামড়ায় পুঁজ বা ঘা হতে পারে। সেই সঙ্গে জ্বর আসবে, অসহ্য মাথা যন্ত্রণা ও শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ব্যাক্টেরিয়া যদি মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তা হলে রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
১. বিড়ালকে আদর করার সময়ে বা বিড়ালের সঙ্গে খেলার সময়ে সতর্ক থাকুন। পোষ্য বিড়াল হলে তার নখ নিয়মিত কাটতে হবে।
২. বিড়ালকে আদর করার পর অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে বা সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৩. পোষা বিড়ালকে সব ধরনের টিকা দিয়ে রাখতে হবে। তারপরেও আঁচড় দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।
৪. আঁচড়ের জায়গাটি আগে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর সেখানে অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। না হলে, ক্ষতস্থানে ধুলাবালু লেগে আরও ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে।
৫. আঁচড়ের স্থানে রক্তপাত হলে ব্যান্ডেজ বা গজ লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর টিটেনাস ইঞ্জেকশন নেওয়া জরুরি। যদি ক্ষত গভীর হয় বা সংক্রমণ ঘটে, তা হলে পরিস্থিতি বুঝে সেই মতো চিকিৎসা করানো জরুরি।
সূত্র: আনন্দবাজার
আমার বার্তা/এল/এমই