সৌদির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করল ইসরায়েল

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেড় মাসে সেখানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে তারা। এমন অবস্থায় তীব্র নিন্দা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক হয়েছে আরব বিশ্ব। সৌদি আরব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। এমন অবস্থায় ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০৩০ এর আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে , ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ এর আয়োজক হতে চায় সৌদি আরব। এর জন্য প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে নাম দিয়েছে দেশটি। সেখানে বেশিরবাগ সদস্যের সম্মতিতে আয়োজক দেশ নির্বাচিত করা হবে। সেখানে সৌদি আরবকে সমর্থন দিয়েছিল ইসরায়েল। তবে এখন তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক্সপো ২০৩০ এর আয়োজক হতে চাওয়া সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (কেএএন) ইসরায়েলি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, ইসরায়েল আগে এটি আয়োজনের জন্য আয়োজক দেশ হিসেবে সৌদি আরবকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা ইতালিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজক হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ওয়ার্ল্ড এক্সপো ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি লাখ লাখ লোককে আকর্ষণ করে।

২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো কোথায় হবে সেই বিষয়ে সদস্যদের ভোট মঙ্গলবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই দেওয়া হবে চূড়ান্ত ঘোষণা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।

হামাসের হামলার পর ওইদিন থেকেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ব্যাপক ও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ৪৮ দিন ধরে তাদের অবিরাম হামলায় গাজার বাসিন্দা সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় ৪৮ দিন পর তারা হামলা থামিয়ে যুদ্ধে চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল, যা শুরু হয় গত শুক্রবার থেকে।

ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, জিম্মি মুক্তির এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যে যুদ্ধ, সেটা আবারও শুরু হবে। যদি ইসরায়েলি বাহিনী এরপর গাজার দক্ষিণে মনোযোগ দেয় তখন পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, হামাস যেখানেই থাকবে, তাদের ধ্বংস করা হবে।

আমার বার্তা/জেএইচ