মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

মহুয়া মৈত্র

ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

‘প্রশ্নঘুষ’ কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সময় দেননি।

বহিষ্কারের ঘোষণা হওয়ার পর পরই সংসদের বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে এবং বাইরে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই সংসদ সদস্য।

লোকসভা থেকে বেরিয়ে মহুয়া বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিতে ‘এথিক্স’ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। তারা সব নিয়ম ভেঙে ফেলেছে। এমন একটা কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হলো, যা লোকসভার সব সদস্যের মধ্যে প্রচলিত একটি অভ্যাস। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনো উপহার নিয়েছি, তার কোনো প্রমাণ নেই।

তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।

লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর এবার তার কাছেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঠানো হবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, এবার আমার কাছে সিবিআই আসবে। ছয় মাস আমাকে সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হবে।

শুক্রবার লোকসভায় তৃণমূল, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষে মহুয়াকে নিজের বক্তব্য জানানো এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধও রাখেননি স্পিকার।

অতীতের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি জানান, আগেও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত সদস্য কিছু বলার সুযোগ পাননি। পাশাপাশি বিজেপির যুক্তি ছিল, মহুয়া আগে নিজের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান।

অন্যদিকে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। একজন নারীকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যেভাবে হেনস্থা করল, তাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো। দল মহুয়ার পাশে ছিল, আছে। বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি প্রমাণিত।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ, লোকসভায় প্রশ্ন করার বিনিময়ে মহুয়া শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছে থেকে ঘুষবাবদ নগদ এবং উপহার নিয়েছিলেন।

 

আমার বার্তা/এমই