টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

এএফপির প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে নতুন করে চাপের মুখোমুখি হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টিউলিপের পারিবারিক সম্পর্ক ও দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই চাপ তৈরি হয়েছে।

আর্থিক দুর্নীতির এক মামলায় বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিক ও তার খালা শেখ হাসিনা-সহ পরিবারের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী ব্যাপক চাপে আছেন। এমনকি দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে টিউলিপের ওপর। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

এই মাসের শুরুর দিকে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী নিজেকে স্টারমারের মান উপদেষ্টার কাছে উল্লেখ করেন, তিনি তার খালা এবং আওয়ামী লীগ দলের হাসিনার নেতৃত্বে থাকা সম্পত্তিতে বসবাস করতেন এমন অভিযোগের কারণে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর দেওয়া লন্ডনের ফ্ল্যাটে বসবাসের অভিযোগ ওঠার পর চলতি মাসের শুরুর দিকে টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিষয়ে কেয়ার স্টারমারের মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ড অ্যাডভাইজরকে তদন্তের আহ্বান জানান। অভিযোগের বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি।

যুক্তরাজ্যের সরকারে টিউলিপ সিদ্দিকের অবস্থান যৌক্তিক কি না জানতে চাওয়া হলে, সোমবার দেশটির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী প্যাট ম্যাকফ্যাডেন স্কাই নিউজকে বলেন, তিনি (টিউলিপ) নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বানের মাধ্যমে সঠিক কাজ করেছেন। মন্ত্রী প্যাট ম্যাকফ্যাডেন জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাডভাইজরের।

তিনি বলেন, ‘‘তিনি এটাই করছেন এবং এই সংকট মোকাবিলা করার সঠিক উপায় এটা।’’

কিন্তু যুক্তরাজ্যের বিরোধী রাজনীতিকরা ক্ষমতাসীন সরকার থেকে টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে চান। রোববার টাইমস রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কনজারভেটিভ পার্টির মুখপাত্র মেল স্ট্রাইড বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি সরকারে তার ভূমিকা পালন করাটা অসমর্থনীয়।’’

‘‘এই মুহূর্তে তিনি যে পদে আছেন, টিউলিপের পক্ষে তা অযৌক্তিক। তিনি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী।’’


আমার বার্তা/এমই