ভারতে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদের জেরে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্য, বাংলাদেশের মন্তব্য অযৌক্তিক। ঢাকায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার জন্য এটি একটি অসৎ প্রয়াস; যেখানে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজের অপরাধীরা এখনো অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এ ধরনের অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে বাংলাদেশ তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করলে সেটা আরও ভালো হবে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জিন-বুদ্ধিজীবীদের সভায় এই সহিংসতার জন্য বাংলাদেশকে দোষারোপ করেন।

তার দাবি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করে চক্রান্ত করে সেখানে অশান্তি লাগিয়েছেন।

শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তর প্রদেশসহ দেশটির আরও কিছু অঞ্চলে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের নানা তথ্য গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে।