হুথিদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবে গেল মার্কিন যুদ্ধবিমান
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবে গেছে প্রায় ৬ কোটি ডলারের একটি যুদ্ধবিমান। মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে দেশটির নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে ডুবে গেছে। স্থানীয় সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিএনএন।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে রণতরীটি সরে যাওয়ার জন্য বাঁক নিয়েছিল। সে সময়ই এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়। এর আগে সোমবার হুথি বিদ্রোহীরা বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরেই হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে ওই রণতরীটি লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।
এই ঘটনায় এক নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমানটি ডুবে গেছে। নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬ কোটি ডলারের বেশি (বাংলাদেশি টাকায় ৭২৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা) বেশি।
এর আগে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় আরও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আরও হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে দুই দফা হামলা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার বার হামলা চালানো হয়েছে।
আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রাজধানী সানার উত্তরে বানি আল হারিস জেলায় মার্কিন হামলায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছে।
গত সপ্তাহেও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ জন।
সে সময় হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানায়, রাজধানী সানার ফারওয়া জেলায় একটি বাজার ও আবাসিক এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। তাছাড়া মারিব প্রদেশের রাজধানী মারিব শহর, পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদা ও হুতিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাদা প্রদেশেও হামলা চালানো হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরেও ব্যাপক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহত হয় ৮০ জন। আহত হয় আরও ১৫০ জনের বেশি।
গত এক মাস ধরেই ইয়েমেনে নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলা থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল রক্ষায় তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আমার বার্তা/জেএইচ