গাজায় অনাহার এবং অপুষ্টিতে ৯৪ শিশুসহ ১৮১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গাজায় অনাহারে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ/ফাইল ছবি: এএফপি

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে অনাহার এবং অপুষ্টিতে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারের কারণে এখন পর্যন্ত ১৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ জনই শিশু। খবর আল জাজিরার।

এদিকে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

আল-আওদা হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে ৭ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছে।

জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, রাফাহ শহরের উপকণ্ঠে আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে এক নারীসহ দুজন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছু এলাকায় যুদ্ধে ‌‘কৌশলগত বিরতি’ বাস্তবায়ন শুরু করবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা হামলা স্থগিত করার কথা বললেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন থেমে নেই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৪ জন শিশুসহ আরও ১৮১ জন ফিলিস্তিনি অনাহার বা অপুষ্টিতে মারা গেছেন।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং সমালোচনার পর ইসরায়েল সম্প্রতি জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, স্পেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশকে বিমান থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিয়েছে।

কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা আনরোয়াসহ বিভিন্ন মানবিক গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করেছে যে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা অপর্যাপ্ত এবং স্থলপথে অবাধে সহায়তা প্রবাহকে সহজ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই