বিমান ছিনতাই করেছিলেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর স্বামী
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে তার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদির নাম। ১৯৭৩ সালে একটি বিমান ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ছিলেন তিনি। ঘটনার জেরে দুর্গা প্রসাদ ও তার সহযোগিরা সাজাও খাটেন। নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অর্থ জোগাতেই বিমান ছিনতাই করেন বলে দাবি ছিলো তাদের।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো তরুণদের আশার আলো হয়ে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তবে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাগ্রহণের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে তার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদির বিতর্কিত এক কাণ্ড।
১৯৭৩ সালের ১০ জুন নেপালের বিরাটনগর থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বিমান ছিনতাই করেন তিন যুবক। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি। সেদিন অস্ত্রের মুখে বিমান ঘুরিয়ে নেয়া হয় ভারতের ফরবেসগঞ্জে। বিমানটিতে থাকা ১৫ যাত্রীর মধ্যে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মালা সিনহা।
বিমানটিতে নেপালের সরকারি ব্যাংকের প্রায় ৪০ লাখ রুপি বহন করা হচ্ছিল। সেই অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে বিমানটিকে যাত্রীসহ ভারতের দার্জিলিং হয়ে তা ফেরত পাঠানো হয় নেপালে। এই গোটা অপারেশনের পরিকল্পনা করেছিলেন নেপালি কংগ্রেসের তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা গিরিজা প্রসাদ কৈরালা। পরবর্তীতে চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
এই ঘটনার জেরে দুর্গা প্রসাদ ও তার সহযোগিরা মুম্বাই থেকে গ্রেফতার হন। পরে ১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থার সময় তারা মুক্তি পান। একই মামলায় কারাভোগ করেন আরেক নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। তাদের দাবি ছিল, বিমান ছিনতাই করা হয় নেপালের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অর্থ জোগাতে।
পরে এই ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিমান বিদ্রোহ নামের এক স্মৃতি কথার বইয়ে বিস্তারিত লিখেছিলেন দুর্গা প্রসাদ সুবেদি। আর সেসময়েই ভারতে আইন পড়তে গিয়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয় সুশীলা কার্কির।
সূত্র: এনডিটিভি
আমার বার্তা/এল/এমই