ট্রাম্পের মামলা নিষ্পত্তিতে প্রায় আড়াই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ইউটিউব
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে হামলার পর অ্যাকাউন্ট স্থগিতের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মামলায় ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় আড়াই কোটি ডলার পরিশোধে রাজি হয়েছে ইউটিউব।
এর মাধ্যমে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হামলার পর অ্যাকাউন্ট নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করল অ্যালফাবেট মালিকানাধীন এই সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে রাজি হওয়ার মাধ্যমে গুগল অন্য তিন বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বশেষ কোম্পানি হিসেবে ট্রাম্পের মামলার নিষ্পত্তি করল।
ট্রাম্প ২০২১ সালের জুলাইয়ে ইউটিউবের পাশাপাশি এক্স (সাবেক টুইটার) এবং ফেসবুকের মালিক মেটার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এসব প্রতিষ্ঠান বেআইনিভাবে রক্ষণশীল মতামতকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছে।
সেই মামলায় মেটা ও এক্স চলতি বছরের শুরুতেই মীমাংসায় পৌঁছায়। জানুয়ারিতে মেটা ২৫ মিলিয়ন ডলারের সমঝোতা করে, যার মধ্যে ২২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ হয় ট্রাম্পের পরিকল্পিত প্রেসিডেন্ট লাইব্রেরি (মায়ামি) নির্মাণ তহবিলে। আর এরপর ফেব্রুয়ারিতে এক্স প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারে মামলার নিষ্পত্তি করে।
ইউটিউবের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী, ২২ মিলিয়ন ডলার যাবে ট্রাস্ট ফর দ্য ন্যাশনাল মল–এ। এটি মূলত একটি অলাভজনক সংস্থা। এ তহবিল থেকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের নির্মাণাধীন ২০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুমের অর্থায়ন হবে। আদালতের নথি অনুসারে, প্রায় ৯০ হাজার বর্গফুট আয়তনের এ ভবন ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার বহু আগেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাকি অর্থ মামলার অন্য বাদীদের মধ্যে বিতরণ হবে, এর মধ্যে আমেরিকান কনজারভেটিভ ইউনিয়নও রয়েছে। তারা মূলত কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্স আয়োজন করে থাকে। মার্কিন লেখিকা নাওমি উলফও এই অর্থ পাবেন।
ইউটিউব অবশ্য স্বীকার করেনি যে তারা কোনো বেআইনি কাজ করেছে এবং এ সমঝোতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির নীতিতে কোনো পরিবর্তনও আসবে না।
প্রসঙ্গত, ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পকে ২০২১ সালে ইউটিউব থেকে স্থায়ীভাবে বাদ দেওয়া হয়নি, তবে নতুন ভিডিও আপলোডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে তার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা হয়।
মূলত এই মামলাগুলোর সূত্রপাত হয়েছিল ক্যাপিটল হামলার পর বড় বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সীমিত করার সিদ্ধান্ত থেকে। প্ল্যাটফর্মগুলো জানিয়েছিল, ট্রাম্পের কার্যক্রম আরও সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, এসব নিষেধাজ্ঞা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিধিনিষেধ।
আমার বার্তা/জেএইচ