তুরস্ক থেকে যোদ্ধাদের ইরাকীদের সরিয়ে নিচ্ছে পিকেকে
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

তুরস্ক থেকে নিজেদের সব যোদ্ধাকে উত্তর ইরাকে সরিয়ে নিচ্ছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। আঙ্কারার সাথে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করছে গোষ্ঠীটি। এর মধ্যদিয়ে গোষ্ঠীটির কয়েক মাসের অস্ত্র সমর্পণ প্রক্রিয়ার অবসান ঘটছে।
এএফপির প্রতিবেদন মতে, আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) উত্তর ইরাকের কানদিল এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কুর্দি পিকেকে ঘোষণা দিয়ে জানায়, ‘আমরা তুরস্কের অভ্যন্তরে থাকা আমাদের সব যোদ্ধা প্রত্যাহার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।’
এর গোষ্ঠীটি অনলাইনে একটি ছবিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা গেছে, ২৫ জন যোদ্ধা তুরস্ক থেকে কানদিল এলাকায় এসে পৌঁছেছেন। যোদ্ধাদের মধ্যে আট জন নারী। পিকেকের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আঙ্কারা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) একজন মুখপাত্র ওমের চেলিক বলেছেন, সরকার এই ঘোষণা এবং এর ধারাবাহিকতাকে ‘কৌশলগত ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে মনে করছে।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে আব্দুল্লাহ ওসালানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি পিকেকে। এরপর ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো বিদ্রোহ শুরু করে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। কৌশলগতভাবে তুরস্কের সেনা ও প্রশাসনের ওপর আঘাত হানতে থাকে তারা।
পিকেকের বিরুদ্ধেও কঠোর জবাব দিতে শুরু করে তুর্কি সেনারা। এই সংঘাতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হন। সংঘাত বন্ধের প্রচেষ্টা হিসেবে চলতি বছরের মে মাসে পিকেকে ঘোষণা দেয়, তারা অস্ত্র জমা দেবে এবং লড়াইয়ের ইতি টানবে। দলটির দীর্ঘদিন কারাবন্দি নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের এক সর্বজনীন আহ্বানের পর এই ঘোষণা আসে।
এরপর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত জুলাইয়ে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের দুকান শহরের যাসানা নামক এক গুহায় নিরস্ত্রীকরণ শুরু করেন গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা। ছোট পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অস্ত্র ধ্বংস করেন অর্ধশতাধিক পিকেকে যোদ্ধা।
আমার বার্তা/এল/এমই
