গাজায় নতুন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল সম্পূর্ণ দায়ী: হামাস

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা শহর। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও দখলদার বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠনটি বলেছে, হামাস ইসরায়েলকে গাজায় 'নতুন বাস্তবতা' চাপিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'হামাস নিশ্চিত করছে, এই বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য - এর ক্ষেত্র ও রাজনৈতিক পরিণতির জন্য এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নাশকতার চেষ্টার জন্য (ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব সম্পূর্ণ দায়ী।'

দখলদার বাহিনীর প্রাণঘাতী হামলার পরও যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি হামাস পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। মধ্যস্থতাকারীদের তাদের দায়িত্ব পালন করার এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এটি ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনার অধীনে ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির নির্লজ্জ লঙ্ঘন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, রাফায় তাদের বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও হামাস এই হামলায় কোনো জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, গাজা অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল।

ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।


আমার বার্তা/এমই