ফিলিস্তিনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগুন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ইসরায়েলে অবৈধভাবে গরে ওঠা বসতির কিছু বাসিন্দা পশ্চিম তীরের দেইর ইস্তিয়া নামের ফিলিস্তিনি গ্রামের একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে এবং কোরআন অবমাননা করেছে। এছাড়াও মসজিদের ভেতরের অংশ ভাঙচুর করে দেয়ালজুড়ে নিন্দনীয় নানা বক্তব্য লিখে রেখে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদের একটি দেয়াল এবং অন্তত তিনটি কোরআন গ্রন্থ ও কিছু কার্পেট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মসজিদের দেয়ালে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল— আমরা ভয় পাই না, আমরা আবার প্রতিশোধ নেব, এবং নিন্দা চালিয়ে যাও। এসব বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড প্রধান মেজর জেনারেল আভি ব্লুথকে ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্লুথ একদিন আগেই বসতকারীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন।
এটি সাম্প্রতিক সহিংসতার ধারাবাহিকতায় নতুন আগ্রাসন যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা, মার্কিন প্রশাসন এবং এমনকি কিছু ইসরায়েলি রাজনীতিকও। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
ইসরায়েলি সেনারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।
বুধবার(১১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কারণ এটি গাজার পরিস্থিতিকেও অস্থিতিশীল করতে পারে।
গত দুই বছরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তরুণ ইসরায়েলি বসতকারীরা শত শত হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালে থেকে এখন পর্যন্ত শুধু অক্টোবর মাসে পশ্চিম তীরে রেকর্ড সংখ্যক বসতকারীর হামলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) মুখোশধারী কয়েক ডজন বসতকারী পশ্চিম তীরের বেইত লিদ ও দেইর শরাফ গ্রামে হামলা চালিয়েছে। সেখানে তারা গাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তিতে আগুন দেয় এবং ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৯ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৮ জন আহত হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
