যুক্তরাজ্যে শরণার্থীদের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

যুক্তরাজ্যের সরকার তাদের শরণার্থী নীতিতে বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে দেশটিতে আশ্রয় নেওয়ার ২০ বছরের আগে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করা যাবে না।
বিবিসির প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার এই পরিকল্পনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। বর্তমান নীতি অনুযায়ী, কেউ শরণার্থী হিসেবে থাকতে পারেন ৫ বছর। এরপর অনির্দিষ্টকাল বসবাসের আবেদন করতে পারেন।
মূলত, অবৈধভাবে সাগর পথে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ও আশ্রয় চাওয়ার হার কমানোর লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনার আওতায় প্রথমে সাময়িকভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। শরনার্থী পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করে যদি কারো দেশকে নিরাপদ মনে হয়, তবে তাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।
নতুন নীতিতে সাময়িক বসবাসের মেয়াদ ৫ বছর থেকে কমিয়ে আড়াই বছর করা হবে। এরপর থেকেই নিয়মিত পর্যালোচনা শুরু হবে। সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাবানা মাহমুদ বলেছেন, মানুষকে সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়ার জন্য এমন সংস্কার আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখনই উদ্যোগ নেওয়া না হলে দেশে আরও বিভাজন তৈরি হবে।
যুক্তরাজ্যের নতুন নীতিটি ডেনমার্কের কঠোর অভিবাসন আইন থেকে অনুপ্রাণিত। ডেনমার্কে, শরণার্থীদের সাধারণত দুই বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময়সীমা শেষ হলে আবার শরণার্থী হিসেবে আবেদন করতে হয়।
নতুন নীতি নিয়ে শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সোলোমন বলেছেন, অভিবাসীদের বাধা দেওয়ার বদলে ২০ বছরের অনিশ্চিয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যা কোনো ব্যক্তিকে স্বাভাবিকভাবেই চাপের মধ্যে রাখবে।
যুক্তরাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাস পর্যন্ত ১২ মাসে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৩ জন। যা আগের ১২ মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাত দিনে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন ১ হাজার ৬৯ শরণার্থী। চলতি বছর সাগর পথে যুক্তরাজ্যে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ৩৯ হাজারের বেশি।
আমার বার্তা/এমই
