আ.লীগের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না: ব্যারিস্টার খোকন

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটবিহীন নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তাদের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, নির্বাচন এলেই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে। এটা কোনো রাজনীতি হলো, যারা নির্বাচন করবে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। তাদের ষড়যন্ত্রটা ভোট কারচুপি করা, ভোট লুটপাট করা। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, মনোনয়ন দেওয়া এটা ভোট কারচুপির নতুন ষড়যন্ত্র। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যা করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে। এবারও তারা এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি বলব, এবার কিন্তু তারা ভুল করছে। রাজনৈতিক কৌশলে আওয়ামী লীগ ভুল করছে। এবার আর আগের মতো পরিবেশ নেই। সমগ্র দেশবাসী একটা দাবিতে আন্দোলন করছে সেটা হলো নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না। যে পর্যন্ত আন্দোলন সফল না হবে, যে পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসে সে পর্যন্ত  আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

 শুধু বিএনপি নয়, সমমনা অনেক রাজনৈতিক দল আছে, পাশাপাশি জনসাধারণ তারাও কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারকে বলব এখনও সময় আছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নাহলে রাজনীতি যত জটিল হবে তত দেশেরও ক্ষতি হবে। আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিপন্নের দিকে যাবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালত নিয়ন্ত্রণ করছে এটা তো খারাপের দিকে যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন থেকে তো মামলাগুলো পড়ে ছিল। নির্বাচনের তফসিল আসার সাথে সাথে যে সাজা দিচ্ছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বা সাবেক এমপিকে সাজা দিচ্ছে। সরকার মনে করছে সাজা দিলেই মনে হয় আন্দোলন থেমে যাবে। আর কত সাজা দেবেন। কোটি কোটি মানুষকে তো সাজা দিতে পারবেন না। সাজা দিলে কোথায় রাখবে। এখন তো কোনো জেলখানায়  জায়গা নেই। ২৮ অক্টোবরের আগে ছিল ৮৩ হাজার বন্দি। এখন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি হয়ে গেছে। কত জেলে দেবে। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনে স্কুল-কলেজকে গেজেট করে কারাগার ঘোষণা দিতে হবে। কারাগার করে গ্রেপ্তার করছে সরকার। স্কুল-কলেজকে কারাগার করে রাখতে হবে। সবকিছুই নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।


আমার বার্তা/এমই