‘দণ্ড মাথায় নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আইনের দৃষ্টিতে সমীচীন নয়’

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ১৩:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের জামিন আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন নিতে আসেন ড. ইউনূস।

জামিন রায় ঘোষণার পর বের হয়ে কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, উনি (ড. ইউনূস) আপিল করেছেন, উনি সাজাপ্রাপ্ত। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কীভাবে বলেন- বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। শ্রম আদালতের আইন ভঙ্গের জন্য ওনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এটা তো নতুন কিছু না। এখনও লেবার কোর্টে প্রচুর মামলা পেন্ডিং আছে। বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলার ঔদ্ধত্য ওনার নেই।

তিনি বলেন, আমি মনে করি একটি আপিলকে নিয়ে শুনানি করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিয়ে কথা বলার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ। এটা উনি বলার অধিকার রাখেন না। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ড. ইউনূস কিন্তু একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড মাথায় নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা আইনের দৃষ্টিতে সমীচীন নয়। ওনাকে মাথায় রাখতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আপিল করেছেন।

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসের সাজা হয়েছে, উনি মামলা নিয়ে কথা বলুক, এতে আমাদের আপত্তি নেই। সেখানে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলছেন, বাংলাদেশের ইমেজের কথা বলছেন। তাহলে কি বাংলাদেশের ইমেজ ডিপেন্ড করে প্রফেসর ইউনূসের ওপর? মোটেও না, যিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনি কেন বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলবেন?

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত ওনার জামিন হয়েছে, এসময়ের মধ্যে যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে আদালতকে অবহিত করে যেতে পারবেন। সেখানে কোনো আইনি বাধা নেই।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। যা আজ আবার বাড়ানো হয়েছে।


আমার বার্তা/জেএইচ