গ্রেপ্তারের পর কারাগারে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এদিন সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে আটক করে দুর্নীতি দমক কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
পরে বিকেলে এস কে সুরকে আদালতে আনা হয়। এ সময় দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেননি। পরে শুনানি শেষে বিচারক সুরকেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের সরকার কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, এস কে সুরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। তাকে দুদকে ডাকা হলে তিনি হাজির হননি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, এদিন এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এস কে সুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- এসকে সুরের স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী, মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরী।
২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয় বলে জানান দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে এসকে সুরের বিরুদ্ধে অর্থপাচারে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন। কয়েকজন আসামির জবানবন্দিতে এমন তথ্য উঠে আসে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে এসকে সুরের পরিবারের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক। আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এসকে সুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
একই বছরের ২৯ মার্চে এসকে সুরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাটের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান এসকে সুর চৌধুরী। অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আমার বার্তা/এমই