আনিসুল ও হেলালুদ্দিন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর লালবাগ থানার ইলেকট্রেশিয়ান শাওন সিকদার হত্যা ও আশরাফুল হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা থানার মামলায় সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

শাওন হত্যার মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই লালবাগ থানাধীন আজিমপুর এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন শাওন সিকদার। ঘটনার দিন ইডেন মহিলা কলেজের সামনে পৌঁছালে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গত ২১ জানুয়ারি লালবাগ থানায় মামলা হয়।

আশরাফুল হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই লালবাগ থানাধীন আজিমপুর সরকারী কলোনীর ভেতরে মিছিল করছিলেন ভুক্তভোগী মো. আশরাফুল ওরফে ফাহিম। ঘটনার দিন আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ভুক্তভোগীর বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়। গত ১৭ জুলাই লালবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী আশরাফুল।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। এরপর মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের ধারা যোগ করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।


আমার বার্তা/জেএইচ