কুমিল্লায় শিশু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চাচির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

কুমিল্লার তিতাসে শিশু সায়মনকে (৭) হত্যার দায়ে বিল্লাল পাঠান নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সায়মনের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সায়মন মায়ের সঙ্গে তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায়। সেখান থেকে কোমলপানীয় কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৮ আগস্ট নিখোঁজের বিষয়ে তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। 

পরে ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোঁপের ভেতর থেকে সায়মনের অর্ধগলিত পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার চাচি শেফালী বেগম এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগপত্র দায়ের ও ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড এবং সায়মনের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুই জনকেই লাশ গুমের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক।

আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, চাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।

সাময়নের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, ‘আমি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আবেদন জানাচ্ছি।’


আমার বার্তা/এল/এমই