অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে লিভ টু আপিলের আদেশ বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠনকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের খারিজ করে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার ( ৪ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। এই মামলায় ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুনানিতে আইনজীবীরা জানান, জনগণের বৈধতাই সবচেয়ে বড় বৈধতা। বৈধতার ভিত্তি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। শুনানিতে আদালত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় আইনজীবী মহসিন রশিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে, আদালত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় আইনজীবী মহসিন রশিদের কাছে ব্যাখ্যা চান আপিল বিভাগ।
গত বছরের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী। পরে রিট খারিজ করে হাইকোর্ট বলেন, দেশের জনগণ বৈধতা দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। পরে তিনি আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স ও মতামত প্রক্রিয়া নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মহসিন রশিদ। আবেদনের যুক্তিতে তিনি বলেন, যে বিষয় (অন্তর্র্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) সংবিধানে নেই, সে বিষয়ে রেফারেন্স চাওয়া যায় না। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রেফারেন্সের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রুলস অনুসরণ করতে হয় কিন্তু তা করা হয়নি।
শুনানি নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি আবেদনটি সরাসরি খারিজের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছায় সমর্থিত। এরপর হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন রিটকারী আইনজীবী।
