বিরোধীদের গ্রেপ্তার ও কারা হেফাজতে মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক : ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা–কর্মীকে আটক এবং গত অক্টোবর থেকে কারা হেফাজতে বেশ কিছু নেতা–কর্মীর মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সেই সঙ্গে বিচার বিভাগ ব্যবহার করে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের নেতাদের হয়রানির খবরেও উদ্বিগ্ন তিনি।

সোমবার (৪ মার্চ) মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫ তম অধিবেশনে এ উদ্বেগ জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমি যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমি রাজনৈতিক সংলাপ এবং ঐক্যকে উৎসাহিত করতে তাঁদের মুক্তির লক্ষ্যে মামলার দ্রুত পর্যালোচনা করার আহ্বান জানাই।

ভলকার তুর্ক বলেন, মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের হয়রানির জন্য বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কথিত বলপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে উৎসাহিত করি।

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী ৫৫টি স্থানে সংঘাত দানা বাঁধছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ব্যাপক লঙ্ঘন লাখ লাখ নাগরিকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বাস্তুচ্যুতি এবং মানবাধিকার সংকট এরই মধ্যে নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এসব সংঘাতের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।

এ সময় গাজা–ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা, বিপুল হতাহত এবং বাস্তুচ্যুতির কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক। এ ছাড়া ইউক্রেন, মিয়ানমার, ইথিওপিয়া, কঙ্গো, সুদান, সাহেল উপদ্বীপ, কোরিয়া উপদ্বীপ, লোহিত সাগর থেকে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার কথা উল্লেখ করেন।

দুর্নীতি গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। তিনি বলেন, এর প্রাথমিক প্রভাব হলো—সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জনসাধারণের সম্পদকে সবার জন্য মঙ্গলে ব্যবহারের উদ্দেশ্য থেকে ব্যক্তিগত সুবিধার দিকে ঠেলে দেওয়া। এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এটি এত ব্যাপক হতে পারে যে এসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোনও অর্থে অকার্যকর করে দেয় এবং এতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল লোকেরা বঞ্চিত হয়। সেই সঙ্গে স্বৈরতন্ত্র এবং সামরিক অভ্যুত্থান বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আমার বার্তা/এমই