খালেদা জিয়ার ৩ রোগকে বড় সংকট মনে করছেন চিকিৎসকরা

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

হাসপাতালে চিকিৎসারত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে রোববার (২৩ জুন) পেসমেকার বসানোর পর সোমবার বিকালে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া মূলত হার্ট, কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন। যেটি তার শারীরিক পরিস্থিতিকে বেশ জটিল করে তুলেছে।

প্রায় ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন থেকে। এর মধ্যে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগকে খালেদা জিয়ার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ মনে করছেন তার চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার লিভারে এখন যন্ত্র বসানো হয়েছে। লিভারের রোগই খালেদা জিয়ার স্বাস্থঝুকির বড় কারণ।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. হোসেন বলেন, স্থায়ীভাবে তার লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে তার যে বয়স তাতে স্থায়ীভাব লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব কি-না সেটা দেখা প্রয়োজন। যেটি করতে বিদেশ নিতে দেশের বাইরের ডাক্তাররা আমাদেরকে জানাচ্ছেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, বিভিন্ন সময় কোন কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পর ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে দুঃচিন্তাও কমছে না।

ডা. হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার ক্রনিক ডিজিজ অসুখ। জন হপকিংসের চিকিৎসকরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কেন সেখানে চিকিৎসা করাতে আমরা যাচ্ছি না।

এছাড়া হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লকও ছিল আগে থেকে। সে কারণে একটা স্টেনটিংও করা ছিল বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

তার চিকিৎসকরা বলেছেন, হার্টের সাধারণত যে সব অসুখগুলো থাকে তার মধ্যে তিনটিই খালেদা জিয়ার মধ্যে আছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. হোসেন বলেন, এখন পেসমেকার লাগানো হয়েছে। এটা কাজ করতেছে। তার পরবর্তীতে ওনার হার্টে আরো ব্লক আছে। সেগুলোরও চিকিৎসা দরকার।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে কোনো আবেদন করা হয়নি। আবার আবেদন করা হবে কী না সেটিও নিশ্চিত নয়।

এদিকে সোমবার নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা প্রয়োজন সেটি তিনি যে হাসপাতালে আছেন সেখানে থেকেই পাচ্ছেন। তার আর যেসব অসুখ আছে, তার কয়েকটা সেরে ওঠার মতো না। সেগুলোর চিকিৎসা করে কমিয়ে রাখতে হবে, সেটাই করা হচ্ছে। সুত্র: বিবিসি



আমার বার্তা/জেএইচ