বাবারে আমি ছারুম না : মতিউরের মেয়ে ইপ্সিতা

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১১:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর একে একে সবই হারাচ্ছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এবার তাঁর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তারই মেয়ে কানাডা প্রবাসী ফারজানা রহমান ইপ্সিতা। এক স্বজনের কাছে পাঠানো ভয়েস মেসেজে তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবারে প্রটেক্ট করার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। তার ওপর আমার জিদ। আল্লাহর কসম, বাবারে আমি ছারুম না। সে আমারে ধোঁকা দিছে (দিয়েছে), আমার মারে (মাকে) ধোঁকা, আমার ভাইরে ধোঁকা দিছে। আমি তারে ছারুম? জীবনেও না। তার জন্য আমার নাম নষ্ট হবে, মার নাম নষ্ট হবে, এইটা আমি হইতে দিমু না।’

বিশ্বখ্যাত ম্যাকলারেন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা।  

ছাগলকাণ্ড ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গে ইপ্সিতা বলেন, ভয়েজ মেসেজে বলেন, ‘মানুষের দোষ তো নাইরে ভাই। দেশের মানুষ তো আসলেই কষ্ট করে। এই লোকটা আমার মারে এত বড় চিট করল ভাই। আমি এক মিনিট পরপর আমার মার (মায়ের) সঙ্গে কথা বলতাছি (বলছি)। আমার মা হাউমাউ করে কান্দে (কাঁদে)। আমার ভাই কান্দে। আমার ভাই আমারে বলে, বাপ আমাদের কখনো ভালোবাসে নাইরে আপু। ভালোবাসলে সে এইভাবে চিট করত না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের রাগ তো আমি বুঝতে পারছি। বিকজ আপনারা অনেক ভুক্তভোগী। এই...সরকার। আল্লাহ মাফ করুক, আসলেই ভুক্তভোগী। কিন্তু আমার ফ্যামেলি, আমার, আমার মা-ভাইয়ের কোনো দোষ এখানে ছিল না ভাই।’

বাবা মতিউরকে উদ্দেশ করে ইস্পিতা বলেন, ‘তার আছে অনেক। আমি জানি টাকাপয়সাও ইলিগ্যাল না। তার ভালো ফ্যামেলি। বিয়াও করছিল ভালো ফ্যামেলির মাইয়া (মেয়ে)। তাইলে ভালো ফ্যামেলির মাইয়ারে বিয়া (বিয়ে) কইরা (করে) তুই রাখতে পারলি না। তোর এত খারাপ লাগছে, আমার মারে ছাইড়া তুই চইলা যাইতি। তুই আমাদের চিট করলি কেন। তুই তোর চাকরি বাঁচাইতে পারবি, টাকা বাঁচাইতে পারবি। কিন্তু তুই যে আমাদের ধোঁকা দিছোস, এইটা আমরা কী করুম। আমরা কই যামু (যাব), কারে মুখ দেখামু (দেখাব)।’

ছাগলকাণ্ডের পরই তছনছ হয়ে গেছে মতিউরের সাজানো বাগান। আলোচনায় আসার পর এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদও। মঙ্গলবার ফ্রিজ করা হয়েছে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বিও অ্যাকাউন্ট।

একইধরণের টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাঁর পরিবারেও। দ্বিতীয় বিয়ের কথা সামনে চলে আসায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পরিবারের মধ্যেই।

প্রসঙ্গত, ১৬ জুন রাতে দেশ রূপান্তরের অনলাইন ও ডিজিটাল সংস্করণে ‘রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের অর্ধকোটির কোরবানি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা আলোচনায় আসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ ১২ লাখ টাকায় একটি ছাগলসহ অর্ধকোটি টাকার কোরবানির পশু কেনেন। এই তরুণের অর্থের উৎস জানতে গিয়ে জানায় যায়, ইফাত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় সন্তান।


আমার বার্তা/জেএইচ