আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সিপিডির আহ্বান

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আনয়ন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক খাত বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে পুনর্গঠন করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক ডায়ালগে এ আহ্বান জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমদিা খাতুন।


আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আনতে অতিদ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থাহীনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বল আত্মবিশ্বাস, ভবিষ্যৎ সহিংসতার আশঙ্কা, প্রশাসনিক শীর্ষপর্যায়ে শূন্যস্থান পূরণ ও প্রশাসনিক শূন্যস্থান পূরণের জন্য সর্বজনস্বীকৃত ব্যক্তির অভাবের মতো বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ব্যক্তি খাত, সিভিল সোসাইটি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।

মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা বলেন, রাজস্ব আহরণের অপর্যাপ্ততা, সরকারি ব্যয় সংকুলানে ব্যর্থতা, এডিপি বাস্তবায়নে শ্লথগতি, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের উচ্চমাত্রায় ঋণ দেশের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছে।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, রফতানি আয়ে ধীরগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহে মন্থরতা, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগে স্থবিরতার মতো সমস্যাগুলোর দ্রুত অবসান করতে হবে।
অর্থনীতির গতি আনতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবক্ষয়, আমদানিতে ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা, টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।

সামাজিক খাত পুনর্গঠনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, শ্রমবাজারের চাহিদা ও দক্ষতার অসামঞ্জস্যতা দূর করার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতের পুনর্গঠনের সঙ্গে কর্মসংস্থান, বিশেষত যুবকর্মসংস্থানের, বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।

সিপিডির একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, যুব বেকারত্বের পেছনে অপ্রতুল চাকরির সুযোগ, শিক্ষার নিম্নমান এবং দক্ষতার অমিল, উদ্যোক্তা হওয়ার সীমিত সুযোগ, নারী চাকরিপ্রার্থীদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সুবিধার অভাবের মত বিষয়গুলো রয়েছে।

এ ছাড়া ঘুষ ও দুর্নীতির কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে আসা, অভিজ্ঞতার অযৌক্তিক প্রয়োজনীয়তা, সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে যুবকদের বড় একটা অংশ বেকার থাকছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী তিন মাসের ভেতর জরুরী ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে।


আমার বার্তা/জেএইচ