শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। দুই মামলার বাদী জালাল উদ্দিন আহাম্মদ। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে তার স্ত্রী ও কে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমা ওসমান ও প্রতিষ্ঠানের এমডি তানভীর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার বা ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে বিটিআরসির আইজিডব্লিউ লাইসেন্সধারী অপারেটর হিসেবে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫ টাকা আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল মিনিটের মূল্য বাবদ অর্জিত ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা মূল্যের ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার (বৈদেশিক মুদ্রা) পাচার করে কিংবা আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ করেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও রাতুল টেলিকমের চেয়ারম্যান সৈয়দা আরজুমান বানু, তার মেয়ে ও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস আমরীন রাখিকে আসামি করা হয়েছে।
এই এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২'র ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে ২৫৯ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ টাকা বা ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮১ মার্কিন ডলার পাচার করে কিংবা দেশের স্বার্থে আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে অপরাধ হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শামীম ওসমান ২০২৪ সালে হলফনামায় নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। তার মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৫টি। জ্বালানি তেল আমদানি পরিবহন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেড এন কর্পোরেশন, জেড এন শিপিং লাইনস লিমিটেড, মাইশা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, খান ব্রাদার্স ইনফোটেক ও উইসজম নিটিং মিলসকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিগত দিনে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলাসহ ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছিল, যার মধ্যে কয়েকটি মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত রয়েছে ও বেশ কিছু মামলা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং কয়েকটিতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
অনেদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন স্থগিত করে গত ২২ আগস্ট। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আমার বার্তা/এমই