বিদেশি ঋণ নিতে হলে পরামর্শকের বোঝা বইতেই হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

একনেক সভা শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

বিদেশি ঋণের প্রকল্পে বাধ্য হয়েই পরামর্শক নিয়োগ দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, যে কোনো বিদেশি বড় ঋণ নিতে হলে ছোট পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতেই হবে। সেটি না হলে তারা ঋণ দিতে চায় না।

রোববার (২০ এপ্রিল) একনেক সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১৪ প্রকল্পর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৩ হাজার এক কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আসলে সমুদ্রবন্দর নয়, এটি নদীবন্দর। কাজেই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্রবন্দর দরকার। এজন্য বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নে মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর একটি আজ অনুমোদন পেলো। আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে। সব মিলিয়ে এখানে চারটি টার্মিনাল হবে এবং এটি মেগা প্রকল্প হবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রুত শেষ হয় সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে (উপকারভোগী) যুক্ত করায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকৃত ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। উপকারভোগী বাছাইয়ে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন। এছাড়া গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা, তিতাস ও বাখরাবাদ ফিল্ডে ২টি গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের খনন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। এছাড়াও রয়েছে, বায়ু দূষণ পর্যবেক্ষণ যন্ত্রপাতি উন্নয়ন- বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বিএডিসি উন্নয়ন- বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকল্প প্রভৃতি।


আমার বার্তা/এমই