সচিবালয়ের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহতের ঘোষণা
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ১৭:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সচিবালয়ের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আলোচনার আমন্ত্রণ না পেলে নতুন দাবি যুক্ত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আমরা মাঠে ময়দানে ঘুরছি। অনেক ক্যাডার সার্ভিস থেকে অনেকেই আন্দোলনে নেমে গেছে। আমরা একটা জিনিস বুঝে গেছি সরকার আমাদের সঙ্গে সাপলুডু খেলা খেলছে।
ঐক্য ফোরামের এ নেতা বলেন, কারও সঙ্গে কথা না বলে এই কালো অধ্যাদেশ তারা গোপনে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পাস করিয়ে আনল। এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। একইসঙ্গে ঘৃণাভরে এই সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ প্রত্যাখান করেছি। সরকারকে এই সাপলুডু খেলা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে এ অধ্যাদেশ নিয়ে যখন সম্মেলন করেছিলাম তখন সরকার আবার বিশেষ প্রণোদনা ভাতা দিয়েছেন। সেটা আসলে ফাঁকিবাজি ভাতা। এর মাধ্যমে সরকার আবার প্রতারণা করেছে আমাদের সঙ্গে। একটা শেষ না হতেই আরেকটা শুরু করে দেয়, এজন্যই অনেকেই বলেছে এগুলো বিশেষ সুবিধা নয় বিশেষ প্রতারণা। আমরা এ বিশেষ প্রণোদনা মেনে নেব না।
মো. নুরুল ইসলাম আরও বলেন, যদি আমাদের কথায় কান না দেন তাহলে আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন ডাকতে বাধ্য হব।
প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, অধ্যাদেশ জারির আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এ পর্যন্ত আমরা কেউ কোনো আলোচনার প্রস্তাব পাইনি। তাহলে প্রজ্ঞাপন জারির মধ্যেও লুকোচুরি আছে। আজ আমরা রোদে পুড়ে আন্দোলন করছি আপনারা এসিতে বসে আছেন।
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শুধু দেখতে চাই এ অধ্যাদেশ বাতিল হয়েছে। আমরা সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বুঝি না। আমরা শুধু বুঝি এ অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। আমাদের পিছু হটার কোনো সুযোগ নাই। আজ আমরা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। আর আগামীকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের বাদাম তলায় বেলা ১১টায় জমায়েত হব। প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন। যদি না আসেন তাহলে ধরে নেব তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এরপর যদি আমরা আলোচনার আমন্ত্রণ না পাই, তাহলে আমাদের দাবির সঙ্গে নতুন নতুন দাবি যুক্ত হবে।
মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ অধ্যাদেশ বাতিল করলে আমরা নীরবে ঘরে ফিরে যাব। যদি আমাদের আগুন জ্বালিয়ে আপনারা খেলা করতে চান তাহলে আমরা এমন খেলা খেলব আপনারা ঘরে ঢুকতে পারবেন না। আপনারা সে কাজ করতে বাধ্য করবেন না।
আমার বার্তা/এল/এমই