নারী নির্যাতনের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত বোর্ড: আইএসপিআর

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগকারী একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। ওই প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা পূর্বে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি জেলে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

আইএসপিআর বলছে, অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই এ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবগত হয় এবং যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তবে অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সেনাবাহিনী কর্তৃক যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতিপূর্বেই অভিযুক্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সেনাবাহিনী থেকে কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তার চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ওই প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতি-বিবর্জিত কার্যক্রমকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না উল্লেখ করে আইএসপিআর বলেছে, সেনাবাহিনী তার সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে এবং অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়।


আমার বার্তা/এমই