হেফাজতে মৃত্যু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহির ঘাটতি স্পষ্ট করে
আসকের উদ্বেগ
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

হেফাজতে মৃত্যু সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহির ঘাটতি স্পষ্ট করে বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সম্প্রতি সিলেট ও মৌলভীবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুই নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এমন মন্তব্য করে।
আসক বলছে, এ ধরনের ঘটনা নাগরিকদের নিরাপত্তার অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেটে র্যাব-৯ এর হেফাজতে থাকা তানভীর চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জৈন্তাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে র্যাব। অন্যদিকে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার একটি কক্ষে মকদ্দুছ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
আসক জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত সাতজন এভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে আগস্টে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় দুর্জয় চৌধুরী, জুলাইয়ে ঢাকার ভাটারা থানায় ফিরোজা আশরাভী এবং জুনে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানায় ফিরোজা বেগমের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সংস্থাটি বলছে, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রমাণ সংগ্রহের সঠিক প্রক্রিয়া অনুসৃত হয় না। হাজতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আসক জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিটি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং দায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।
সিলেট ও মৌলভীবাজারসহ সংঘটিত এসব ঘটনার তদন্ত করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মৃত্যু রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আসক মনে করে, কোনো অবস্থাতেই হেফাজতে মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়। নাগরিকের জীবন ও মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং মানবাধিকারের মৌলিক শর্ত।
আমার বার্তা/এমই