শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল কবে চালু হবে জানে না মন্ত্রণালয়
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় টার্মিনাল কবে নাগাদ চালু হবে- এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাতে পারেনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব নাসরীন জাহান নির্দিষ্ট সময় জানাতে না পারলেও বলেছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার কাজ জাপানের কোম্পানিকে দেওয়ার বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান বলেন, এখনো বিষয়টি আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে আছে। যেহেতু সরকার টু সরকার আলোচনার পর্যায়ে আছি, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয় কিছু বলা যাচ্ছে না।
তাহলে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হচ্ছে কবে- এ বিষয়ে সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক মানের একটা বিমানবন্দর চালু করার জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সময় দরকার। প্রচেষ্টার জন্য যত রকম কার্যক্রম করণীয় সব হয়েছে। এখনো অপারেশন মেইনটেনেন্সের অংশগুলি যেটি এভিয়েশনের প্রাণ- ওই কাজটি চলমান আছে। সেটি শেষ হয়ে যখন আমাদের ক্লিয়ারেন্স দেবে, ইমিডিয়েটলি আমরা সেটা চালু করব। যখন পুরোদমে রেডি হবে তখনই কেবল ঘোষণা দেওয়া যায়।
তবে কি আপনাদের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই- এ বিষয়ে নাসরীন জাহান বলেন, লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে তখনই যখন আমরা পুরোপুরি বুঝে পাবো। আমাদের সঙ্গে যারা কাজটা করছে তারা যখন আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে, তখন আমরা ডেটটা দিতে পারবো।
উপদেষ্টা বলেন, এই প্রসেস কমপ্লিট করার জন্য দুটো ধাপ। প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে আমাদের একটি অপারেটর নির্বাচন, যে বিষয়ে সচিব আপনাদের বলেছেন। সেই বিষয়ে আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। অপারেটর সিলেকশনের পর অপারেশন রেডিনেস টেস্ট, এটার জন্য আমাদের কয়েক মাস সময় লাগবে। এ বিষয়ে যারা পরামর্শক আছেন, তারা যখন রেডিনেস টেস্ট কমপ্লিট করবেন আমাদের বিমানবন্দর চালু হবে।
এটি চালু করার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টার কোনো শেষ নেই। কারণ এখানে আমাদের ২১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ আমরা করেছি, জাপানিজরা করেনি। এই খরচ মেটানোর জন্য যত দ্রুত আমরা চালু করতে পারি... এটা আমাদের যাত্রী পরিবহনের সেবার উন্নতিকরণ তা না, এখানে আমাদের একটা অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিভিল এভিয়েশন থেকে সবাই আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করছি, যত দ্রুত করা যায়। দুঃখজনকভাবে আপনারা যে একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ চাচ্ছেন, এটা আমাদের কাছে এই মুহূর্তে উপস্থিত নেই। আমাদের লক্ষ্য হয়ত মনে মনে কিছু আছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো আমাদের নেই যে আমরা লক্ষ্যটা আপনাদের জানাতে পারি।
>> বিভিন্নভাবে প্রতারণার একটা চূড়ান্ত কাঠামো তৈরি হয়েছে
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তাকে নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনকে ফরমায়েশি ও মিথ্যা দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, বিমানে যে নৈরাজ্য হচ্ছে, সেটা নিয়ে আপনারা প্রতিবেদন করুন। এমন কিছু করুন যাতে গরিব মানুষের উপকার হয়। যারা গরিব মানুষগুলোকে চুষে খাচ্ছে, যারা ৩০ হাজার টাকার টিকিট এক লাখ টাকায় বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, বিমানে ওঠার পর সিট খালি, কিন্তু টিকিট নেই। আপনারা কেন এটার অনুসন্ধান করেন না? বিভিন্নভাবে প্রতারণার একটা চূড়ান্ত কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে আমরা বের হতে চাচ্ছি।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, আমি সারাদিন মন্ত্রণালয়ে একটা কথা বলি। বউ-বাচ্চা ফেলে পাঁচ বছর, ছয় বছর একটা মানুষ মরুভূমির তপ্ত রোদে থাকেন। তাদের একটা অভিশাপ আছে। টিকিট কাটতে গেলে ওর কয় মাসের বেতন চলে যায়। কীভাবে দূর্বত্তায়ন হচ্ছে। এ টাকাতো বিমান পায় না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক যতগুলো ক্যারিয়ার আছে, তারা যে পরিমাণ দুর্বৃত্তায়ন করেছে, যে পরিমাণ টাকা গরিব মানুষগুলোর কাছ থেকে নিয়ে যায়! আমার টিকিটের টাকার দাম কম সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমি বিজনেস ক্লাসে ট্রাভেল করি আমার সক্ষমতা আছে। যে লোক মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত বালির মধ্যে কাজ করে, তাকে নিয়ে কেন আপনারা অনুসন্ধান করছেন না?
আমার বার্তা/এমই