সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য: সাখাওয়াত

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জন্য ইসির বিধিমালার বিভিন্ন দিক নিয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবশ্যই সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে বহু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। অনেক তরুণ তো জানেই না, কীভাবে ভোট দিতে হয়। মেজরিটি ভোটারদের বাদ রেখে একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনা করেছেন- এর দায় শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশের সব নাগরিকেরই রয়েছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত আরও বলেন, আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ইসিকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে। তার মতে, সরকার যেমনভাবে নির্বাচন চায়, নির্বাচন কমিশনের অবস্থানও অনেকটা তেমনই। তাই কমিশনের উচিত হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা। একইসঙ্গে সবাইকে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিরাপত্তা, তবে সমস্যা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং কোনো কেন্দ্রে সামান্যতম সমস্যা বা অনিয়ম দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভোটের দিন মাঠপর্যায়ে আইন ও প্রশাসনিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হবে পূর্ণ দায়িত্ব ও ক্ষমতা, যাতে তারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষকরা। সবাই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা না হলেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এমনভাবে পরিচালনা করতে হবে যেন যারা দায়িত্ব নেবেন, তারা সুপরিকল্পিতভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে নির্বাচন কমিশন একটি জরুরি সেল (ইমার্জেন্সি সেল) গঠন করবে। এই সেল তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ বা ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।


আমার বার্তা/এমই