অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে এসে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ভারতের জেলেরা যাতে বাংলাদেশে এসে অন্যায়ভাবে মাছ ধরতে না পারে সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের জায়গায় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী আছে। এটা বন্ধ করা তাদের দায়িত্ব।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলেদের উদ্দেশে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছের প্রজননের সময়, সেটা আশ্বিনের পূর্ণিমার সময় ধরে তারিখ করা হয়েছে। আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকে শুরু করে ২২ দিনের যে হিসাব, সেটা অনেক গবেষণা করে এবং আমাদের জেলেদের সম্মতি নিয়ে করা হয়েছে। এটা যখন আমরা ঘোষণা করি, তখন কিন্তু জেলে প্রতিনিধিরা ছিলেন। কাজেই ভারত কী করছে না করছে, সেটা আমরা করবো না।
তিনি বলেন, নদী থেকে জেলেরা যে মাছ ধরে, সেগুলো কিন্তু প্রকৃতি থেকে পাওয়া। সেজন্য এই মাছগুলোকে রক্ষা করতে হয়। মা মাছগুলোকে সময় দিতে হয় ডিম পাড়ার জন্য। ছোট মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হয়। মাছকে রক্ষা করতে না পারলে কেউ মাছ পাবে না।
জেলেদের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দাদন একটি বড় সমস্যা। যে ঋণ এবং ব্যাংকের কথা আপনারা (উপস্থিত জেলে) বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যখন কথা বললাম, তিনিও বললেন— দাদন একটি বড় সমস্যা। দাদন যে একটা বড় সমস্যা, সেটা কিন্তু সবাই স্বীকার করে। আমরা এখন ঋণ দেওয়ার জন্য ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক’ নামে একটা ব্যাংকের প্রস্তাব করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আছে। তারা ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা এরকমভাবে নিচ্ছেন যে, অন্যান্য কিছু এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে যাতে কিছু ঋণ আপাতত দেওয়া যায়। একটা ব্যাংক করতে হলে সময় লাগবে। আপাতত যাতে কিছু বিকল্প পদ্ধতিতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবো যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের জেলেদের খুব ক্ষতি হয়। দুর্যোগের সময় জেলেদের পরিবার জানে না যে, জেলেরা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। জেলেদের পরিবার যাতে সুবিধা পায়, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
জেলেদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার আসবে। আপনারা ভোট দেওয়ার আগে দাবি করবেন যে, যারা আপনাদের দাবিগুলো পূরণ করবে, তাদের আপনারা ভোট দেবেন। ভোট কিন্তু অত্যন্ত বড় একটি নাগরিক অধিকার।
অবৈধ জাল নিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, অবৈধ জাল, কারেন্ট জাল, চায়না জাল ব্যবহার হচ্ছে। যারা সত্যিকারের জেলে, যারা বোঝেন যে মাছ থাকলেই আমাদের জীবন-জীবিকা বাঁচবে। তারা কখনো অন্যায়-অবৈধ কাজ করতে পারে না।
আমার বার্তা/এমই