এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ-ডিএনসিসির সমঝোতা

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে সবুজায়ন ও আধুনিক গণপরিসরে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ লক্ষ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন, পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্মসচিব আলতাফ হোসেন সেখ এবং ডিএনসিসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এ সময় সেতু বিভাগ, প্রকল্প পরিচালক এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকাবাসী নতুন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের ফাঁকা জায়গাগুলো নাগরিকদের বিনোদন, বিশ্রাম ও সংস্কৃতি চর্চার আধুনিক পরিসরে রূপ নেবে। দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করায় এটি নতুন বাংলাদেশের নগর উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।

সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যানবাহনের জন্য নয়, এটি নাগরিক কল্যাণের নতুন দিগন্তও খুলে দিচ্ছে। নিচের অব্যবহৃত স্থানগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরিবেশবান্ধব ও প্রাণবন্ত নগর গড়ে তুলতে চাই।

চুক্তি অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের মধ্যবর্তী ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে দেশীয় বৃক্ষরোপণ, নান্দনিক বাগান, পথচারীর জন্য ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, বসার বেঞ্চ ও নাগরিক সুবিধা স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে নগরীর বায়ুদূষণ হ্রাস, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহায়ক হবে।


আমার বার্তা/এমই