পুলিশ সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দায়বদ্ধ ও অধিকারভিত্তিক শাসনব্যবস্থা জোরদারে বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পুলিশ সংস্কার বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের নন-রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ ওমবাডসম্যান ব্যারোনেস নুয়ালা ও’লোন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা ব্যারোনেস ও’লোন ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে চুক্তির পরবর্তী সাত বছর উত্তর আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ওমবাডসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়টি ছিল দেশটির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক রূপান্তরের সময়, যখন পুলিশি জবাবদিহি ব্যবস্থা ও জনবিশ্বাস প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া গড়ে উঠছিল।
ব্যারোনেস ও’লোন বলেন, আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব সংঘাত পরবর্তী অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে ধৈর্য, অন্তর্ভুক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতি সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা। আমরা এখানে এসেছি টেকসই পরিবর্তনের বাস্তবসম্মত সময়সীমা সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে।
তার সঙ্গে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পিস অ্যান্ড স্টেবিলিটি ইউনিটের পরিচালক ফিওনুলা গিলসেনান। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুকও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আয়ারল্যান্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দেশের সংস্কার ও রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তাদের ধারাবাহিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা আয়ারল্যান্ডের সহায়তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেই, যাতে আমাদের চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক থাকে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য বা বিভ্রান্তিকর প্রচারণা মোকাবিলায় রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলির সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত কেলি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশই শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমার বার্তা/এমই
