সেনাবাহিনী দেশের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ইউনূস
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

২০২৫ সালের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকার সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের পুনর্গঠন এবং জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়মিতভাবে প্রস্তুত রাখবে। তাদের ত্যাগ ও কার্যক্রম দেশের জন্য অমূল্য।” তিনি মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তরণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা, শান্তিরক্ষী সদস্যদের পরিবার এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে আন্তর্জাতিক অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। ড. ইউনূস তার ভাষণ শুরু করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে। এছাড়াও, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত এবং আহতদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “তাদের সাহসী আত্মত্যাগ দেশের পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।”
প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ২৫ মার্চের রাত থেকেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং ২১ নভেম্বরের যৌথ অভিযান স্বাধীনতার চূড়ান্ত নিশ্চয়তা প্রদান করেছিল। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের যৌথ অভিযানই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিশ্চিত করেছিল, যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।”
ড. ইউনূস দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচনের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করবে। এছাড়াও, বহিঃআক্রমণ প্রতিরোধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, প্রযুক্তি সংযোজন ও প্রশিক্ষণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশ ৪৩টি দেশে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে এবং বিশ্বে বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অতিথিদের সঙ্গে আনন্দ প্রকাশ করে ড. ইউনূস সেনা সদস্য এবং তাদের পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে আমরা সবাই একত্রে কাজ করে যাব।”
