নির্ভুল ভূমিসেবা অনেকাংশে নির্ভর করে সার্ভেয়ারদের ওপর: সিনিয়র সচিব
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, একটি দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা কতটা উন্নত এবং নাগরিক কত দ্রুত ও নির্ভুল ভূমি সেবা পান তা অনেকাংশেই নির্ভর করে সার্ভেয়ারদের পেশাগত দক্ষতা, সততা ও দায়িত্ববোধের ওপর। সার্ভেয়াররা ভূমির সীমা নির্ধারণ, মানচিত্র প্রণয়ন, রেকর্ড সংশোধন, মালিকানা নিশ্চিতকরণ এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আধুনিক ও জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠায় তাদের অবদান অপরিসীম।
রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নব যোগদান করা সার্ভেয়ারদের প্রশিক্ষণে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।
এএসএম সালেহ আহমেদ বলেন, সরকারি কাজে গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তিগত কাজে সেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, জনগণের অধিকারের মূল্য বেশি। ডিজিটাল যুগে ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সার্ভেয়ারদের প্রযুক্তি-দক্ষতা অত্যন্ত প্রয়োজন। ড্রোন সার্ভে, জিআইএস, জিপিএস, ডিজিটাল মানচিত্র এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি জরিপকে দ্রুত, নির্ভুল এবং স্বচ্ছ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে একদিকে নাগরিকের হয়রানি কমছে, অন্যদিকে সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা হয়ে উঠছে আরও আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়কালে যতগুলো নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সবগুলোই মেধার ভিত্তিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। মেধাবী জনবল সাধারণত দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব ও সুশাসনের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তারা সঠিকভাবে আইন বুঝে জনকল্যাণে কাজ করতে পারে এবং অনিয়মের প্রলোভনে সহজে আপস করে না। ফলে ঘুষ, জালিয়াতি ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।
সিনিয়র সচিব বলেন, একজন দক্ষ সার্ভেয়ার নাগরিকের আস্থা অর্জন করেন এবং ভূমি সংক্রান্ত সেবা সহজলভ্য করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাই সার্ভেয়ার পেশাকে শুধু প্রযুক্তিগত কাজ হিসেবে দেখা যাবে না, এটি একটি জনসেবামূলক দায়িত্ব। পেশাগত দক্ষতা, সততা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে সার্ভেয়াররা ভূমিসেবাকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করে তুলতে পারেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) খান এ সবুর খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
আমার বার্তা/এমই
