সিইসির কাছে ১০ দাবিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ করাসহ ১০ দফা দাবি দিয়েছে উপজেলা ও সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সেখানে উপস্থিত হলে দাবির চিঠি গ্রহণ করে কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কাজে চলে যেতে বলেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর উপজেলা ও সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সিইসির দপ্তরের সামনে জড়ো হয়।

এ সময় দাবিগুলোর চিঠি চেয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে যাচ্ছি, যেটা স্যারের (সিইসি) সঙ্গে বলার দরকার আমরা বলব। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা যে যার কাজে যান।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সহকারী উপজেলা/থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। তাদের জানানো ১০ দফা দাবিগুলো হলো–

১. দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ।

২. নির্বাচনী দায়িত্বপালন ও সব দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের স্বার্থে ‘উপজেলা নির্বাচন অফিসার’ পদটি ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং ‘সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার’ পদটি এন্ট্রি পদ হিসেবে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

৩. নির্বাচন কার্যক্রম সহজতর, সুষ্ঠু ও সফল বাস্তবায়নের স্বার্থে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারদের জন্য ডাবল-কেবিন পিক-আপ এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের জন্য মোটর সাইকেল সরবরাহ।

৪. উপজেলা নির্বাচন অফিসার পদে পদোন্নতির হার বাড়ানো এবং পদোন্নতিযোগ্য পদ সংরক্ষণ।

৫. স নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার পদে পদায়ন।

৬. সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারদের জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থাকরণ।

৭. নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান।

৮. নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাকরণ।

৯. ২০২৩ সালে প্রণীত বৈষম্যমূলক জাতীয় পরিচয়পত্র আইন বাতিল।

১০. কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের রাজস্বখাতে রূপান্তরকরণ।


আমার বার্তা/এমই