উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রধান অন্তরায় রাজনৈতিক অস্থিরতা
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
রায়হান আহমেদ তপাদার
যেকোন একটি দেশের অর্থনীতি অনেকটা নবজাতক শিশুর মতো। একটি শিশু পৃথিবীতে আসার পর তার একটি সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ দরকার যাতে সে একজন ভালো মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। এজন্য অভিভাবক, পরিবারের সদস্যদের অন্ত থাকে না তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য। একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার জন্যও প্রয়োজন সে রকম একটি পরিবেশ, যাতে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে পারে। স্বাধীনতার পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৫০টি দরিদ্র দেশের ভিতর বাংলাদেশ ছিল অন্যতম। তখন তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো এই দেশকে। কিন্তু বিগত এক দশকের বেশি সময়ে অর্থনৈতিক ভাবে বিস্ময়কর উন্নতির মাধ্যমে উন্নত বিশ্বকে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে এই দেশ। সম্প্রতি দ্যা ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ক্রমাগত দারিদ্র্য কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশ্বে পরিচিতি পাওয়া শীর্ষ চার দেশের সাথে বাংলাদেশের নাম রয়েছে প্রথম স্থানে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিস্ট ফোরাম ৭৪টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে ৪৬তম অবস্থান থেকে ৩৮ তম অবস্থানে রেখেছে। শুধু তাই নয় দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়েছে অগ্রগতি। ২০১৫ সাল থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে লেগেছে নতুনত্বের হাওয়া। উন্নয়নের পাল তুলে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক খাত। এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। দেশের বেশ কিছু শিল্প নিয়ে তৈরী হয় দেশের অর্থনৈতিক খাত। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে পাট শিল্প,পোশাক শিল্প ও বৈদেশিক মুদ্রা। যদিও এই অগ্রযাত্রায় পোশাক শিল্পের অবদানই সব থেকে বেশি। দেশের পোশাক শিল্প অনেকটা রফতানিমুখী। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য অনেক ক্রেতা সংস্থা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছিল। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল আমাদের দেশে তৈরী পণ্যের উপর থেকে।
কিন্তু গত এক দশকে বিশেষ করে ২০১৫ সাল থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে দেশের বিভিন্ন খাতে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে দেশের ঔষধ শিল্প। বিশ্বের উন্নত বিভিন্ন দেশ বর্তমানে আস্থা রাখছে দেশের উৎপাদিতঔষধের উপর। রেমিট্যান্স খাতও এগিয়ে চলছে স্বমহিমায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০ টি দেশের মধ্যে আগের চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে ১২৮ তম অবস্থানে রয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশের অর্থনীতি বিকাশ লাভ করেছে। শুধু তাই নয় অদম্য উন্নত এই দেশের নাম আজ উচ্চারিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন,যা বাংলাদেশকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্ব মানচিত্রের অনন্য জায়গায় একটি দেশের সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ যদি সুষ্ঠুভাবে হয়,দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যদি ঠিকমতো কাজ করে তাহলে সেখানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত হওয়ার কিছু নেই। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্বাচন হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন হবে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। ভোটের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা দেশ চালাবে। আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। দেশে এই ধারাবাহিকতা থাকলে সংঘাতের কোনো প্রশ্ন আসবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমস্যাটি হচ্ছে, নির্বাচন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটা অকার্যকর হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি নির্বাচনের নিশ্চিত ব্যবস্থা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া কাজ না করার কারণে অবিশ্বাস, অনাস্থা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রভৃতির সৃষ্টি হয় যা থেকে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও সাধারণ মানুষ। এই সংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান সরকারের হাতে এবং আইনগত এখতিয়ারও বেশি সরকারের। এ ছাড়া মিডিয়ার ওপরেও সরকারের যথেষ্ট প্রভাব।
সুতরাং এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের ভূমিকাই প্রধান। সুতরাং সংকট সমাধানের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া দরকার। একটি মেরুদণ্ডসম্পন্ন নির্বাচন কমিশন হওয়া দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি বাহিনী না হয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী হওয়া দরকার। আমলাতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের প্রতিষ্ঠান না হয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা দরকার। সংবিধানের গণতান্ত্রিকীকরণ দরকার। এসব পরিবর্তনগুলো আনা দরকার এবং তার জন্য সর্বজনের আস্থাশীল একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে এসব রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিশেষে বলব, ক্ষমতার রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করুন।আর এতেই দেশ ও জাতির মঙ্গল নিহিত।আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর। তিরিশ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে দেশ আজ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে নানা চড়াই-উতরাই আর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ।জাতির প্রত্যাশার সঙ্গে সব ক্ষেত্রে প্রাপ্তির পরিপূর্ণতা না পেলেও অর্জন, উৎপাদন আর সক্ষমতায় দেশের এগিয়ে যাওয়াটাও রীতিমতো এক বিস্ময়। রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপ সব মিলিয়ে উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বারবার। কিন্তু তার পরও এগিয়ে গেছে দেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোলমডেল। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ, তরুণ ও নতুন উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ, উন্নয়নশীল দেশের শর্ত পূরণ, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি, রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ সবই দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
বেড়েছে কর্মসংস্থানের হার। কৃষি খাতেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বেড়েছে কৃষি খাতে বিনিয়োগ ও গড় মজুরির পরিমাণও। দারিদ্র্যের হার কমেছে। নানা অন্তরায় ও মন্দার প্রতিকূলতা ঠেলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জনের ফল, স্বপ্নজয়ের আকাক্সক্ষা আর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি। ৫২ বছরের বাংলাদেশের এ এক বড় প্রাপ্তি। সূত্র জানায়, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে কোনো দেশকে বের হতে হলে মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক ও জাতীয় মাথাপিছু আয়ের (জিএনআই) হিসাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে কমপক্ষে ১০০-এর মধ্যে ৬৬ পয়েন্ট পেতে হবে। বাংলাদেশ এ সূচকে অর্জন করেছে ৬৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে অবস্থান জাতিসংঘের নির্ধারিত মানের ওপরে। জাতিসংঘের হিসাবে এই সূচকে কোনো দেশের অবস্থান ৩২ পয়েন্টের কম থাকতে হবে। জাতিসংঘের হিসাবেও দেশের অবস্থান ২৫ দশমিক ১১ পয়েন্ট। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে হলে জাতীয় মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১ হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার থাকতে হবে। বর্তমানে এই আয় ১ হাজার ৬১০ ডলার। এই খাতেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশ এখন থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে এলো। তবে এটি কার্যকর হবে আগামী ২০২৪ সাল থেকে। ২০৫০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে যে চেষ্টা আর উদ্যম ছোট্ট এই ভূখণ্ডে তাকে বড় কোনো স্বপ্ন নয় বলেই মনে করছেন বিশ্ব অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। বর্তমান সময়ে জনশক্তি রপ্তানিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।গেল বছর বাংলাদেশের ১০লাখেরও বেশি শ্রমিক গেছেন বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গেছেন সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায়।এ দুটি দেশে শ্রমিক যাওয়ার পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, কাতার, ওমানেও আগের তুলনায় বেশি শ্রমিক গেছেন। কিছু নতুন বাজারও সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরির ওপর কিছুটা জোর দেওয়া হয়েছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করা গেলে বিদেশে তাদের উপার্জন বাড়ে, দেশেও তারা অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ পাঠাতে পারে। জনশক্তি রপ্তানির সুযোগও বাড়ে। বিদেশি সাহায্য ছাড়াই দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়; মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ঢাকার পথে মেট্রোরেলের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ লাভ করতে চলেছে। যোগাযোগ আর প্রযুক্তি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে চার লেনের বেশ কয়েকটি মহাসড়ক আর এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের। অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পরিশ্রমের ফসল পোশাকশিল্প এখন বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ড বাংলাদেশ। এই সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে ধারাবাহিক উন্নতি বিশ্বের বুকে দেশকে পরিচয় করিয়েছে উজ্জ্বল এক সম্ভাবনা হিসেবে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করার ফলে এবং বিগত কয়েক বছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনৈতিক খাতের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, বাজেটের আকার, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, শিল্প উৎপাদন, কৃষি উৎপাদন, সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে এসেছে সফলতা। সামাজিক খাতের মধ্যে দারিদ্র্য, শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, অপুষ্টির হার কমেছে। যোগাযোগ কাঠামো, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষার হার, নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে।
অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো স্বাধীনতার ৫২ বছরে ক্রীড়াঙ্গনেও
এগিয়ে গেছে। সব ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত উন্নতি না হলেও ক্রিকেট এখন বাংলাদেশের গর্বের বিষয়। যে কয়টি বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে, তার মধ্যে ক্রিকেট একটি। ক্রিকেট বিশ্ব এখন সমীহ করে বাংলাদেশকে। তথ্যপ্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত সেবা খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। এই ক্ষেত্রটিতে বিশ্বের অন্যতম প্রবৃদ্ধির হার এখন বাংলাদেশে তাই এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এই বিনিয়োগ প্রায় ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারের কম হবে না।বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের দ্রুত বৃদ্ধি এ খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কম খরচে ব্যবসা করার সুবিধা এবং কম খরচে কর্মী পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া দক্ষ কর্মী তৈরিতে বাংলাদেশের আগ্রহ দেশটিকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় আইটি-আইটিএস সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে বিস্ময়কর অর্জন এসেছে নানা ক্ষেত্রে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অসম্ভব প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর পরিশ্রমী উদ্যমী মানুষের চেষ্টায় দেশ এগোলেও সেভাবে এগোয়নি দেশের রাজনীতি। বিরোধপূর্ণ ও হিংসাপ্রবণ রাজনীতি বরাবরই পেছনে টেনে রেখেছে অগ্রযাত্রার গতি। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠলে অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে উন্নয়ন আর অগ্রগতির অনন্য এক দৃষ্টান্ত
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।
আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই