পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষার বাঙালি জাতির চেতনার দিন

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  এম এ জলিল:

বাংলা ভাষার বাঙালি জাতির বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির মাধ্যমে নোবেল জয় করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ভাষার বাঙালি জাতির যারা জাগরণ সৃষ্টি করেছে ফকির লালন শাহ, কবি মাইকেল মধুসদন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস, গরীব ও অসহায় মানুষের মুক্তিরদূত চারন কবি মুকুন্দ দাস, অসহায় নির্যাতিত লোকদের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, বাঙালিদের মাতৃভাষা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য নিবেদিত ছিল ও আন্দোলন করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, তিনি বলেছেন ইংরেজদের তাড়িয়ে যে রাষ্ট্র হবে সেই দেশের রাষ্ট্র ভাষা হবে বাংলা। কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য মুসলিম লীগ রাজনৈতিক সংগঠন করেছে যারা ঢাকায় বসে ১৯০৬ সালে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক এই দুই জন মহান নেতার আদর্শকে জলাঞ্জলি করে দিয়ে পাকিস্তানের জমিদারগণ এক হয়ে বাংলার ও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ধর্মহীন অগ্নি উপাসক মেট্রিকপাস ব্যারিষ্টার মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে মুসলিম লীগ নেতা বানান এবং তথাকথিত পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মান করেন। ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের তারিয়ে নিয়মনীতি না মেনে ও বাংলার নেতাদের সাথে কোন প্রকার শলাপরামর্শ না করে এবং যাদের সমর্থনের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র হয়েছে সেই সব নেতাদের ময়লা আবর্জনার মনে করে পাকিস্তানের গভার্ণ জেনারেল হয়েছেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই পাকিস্তানে পূর্ব অঞ্চলের পূর্ব বাংলার নেতাদের পরামর্শ ছাড়াই দেশ পরিচালনা করেছেন। তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে এর পরও পূর্ব বাংলার যে সব নেতারা জিন্নাহর নেতৃত্বে মেনে নিয়েছে তাদের অনুরোধে পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকা আসেন। ২/৩টি সভায় ভাষন দেন সেই সব ভাষনে জিন্নাহ বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন এবং বলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এমন একজন খারাপ ও অদূরদর্শী নেতা ছিলেন সবসময় মানুষের কল্যান করতেন। তার প্রতিফলন ছিল সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানে ৫৫% জনগণের মাতৃভাষা বাংলার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছেন, তিনি ধারণ করেছে পাকিস্তানের ১৪% জনগণের ভাষা উর্দূকে। যে ভাষাটি পাকিস্তানের ৫টি প্রদেশের মধ্যে কোন প্রদেশেই মাতৃভাষা নয়। তার পরও পাকিস্তানের গভার্ণর জেনারেল বাংলা ভাষার বিরোধীতা করেছে।

ইংরেজদের তাড়িয়ে স্বাধীন উপমহাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রোষ্টাদের মাঝে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, খাজা নাজিম উদ্দিন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শেরে বাংলা ইংরেজদের তাড়িয়ে স্বাধীন উপমহাদেশ করতে ১৯৪০ সালে লাহোর শহরে এক সভায় উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রস্তাব খাজা নাজিমউদ্দিন পাকিস্তানের কুলাংগার শাসকদের শাসন মেনে নেন পরবর্তিতে তার সমর্থনেও তিনি প্রত্যাহার করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ও বাংলার মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি মাওলানা ভাসানী, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, খাজা নাজিম উদ্দিন ও যুব নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সহ পূর্ব বাংলার অসংখ্যক নেতা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে।
এই সকল নেতাদের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও পাকিস্তানের শাসকগণ ভালভাবে গ্রহণ করেন নাই।

ইংরেজ শোষন শাসন থেকে স্বাধীন উপমহাদেশ করার আরো যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। তারা হলেন অবিভক্ত বাংলার বাঙালি চেতনা ধারণকারী ক্ষুদিরাম বসু। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বোমা তৈরী করেছে এবং ইংরেজ শাসক যারা লন্ডন থেকে কলিকাতায় আসছিল। কিন্তু সাধারণ জনগণের অন্য একটি জাহাজে বোমা মেরেছে এই বোমা মারার জন্য ক্ষুদিরাম বসুকে ইংরেজ শাসক গোষ্ঠি ফাঁসি দিয়াছে। ক্ষুদিরাম বসুর স্মরণে বাঙালি কবি যে গান রচনা করেছে সেই গান শুনে বাঙালিরা আজও ক্ষুদিরামের জন্য কাঁদে।

ইংরেজ শাসন শোষন থেকে মুক্তির জন্য আরো যারা বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছে, আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, মহাত্মা অশ্বিনি কুমার দত্ত, দেশ বন্ধু চিত্ত রঞ্জন দাস ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ইংরেজদের উপমহাদেশ থেকে বিতারিত করার জন্য মুক্তি ফৌজ গঠন করেছে, যার নাম ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ। তিনি দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় জার্মান গিয়েছেন হিটলারের সাথে ইংরেজদের শাসন শোষন থেকে মুক্ত করার জন্য আলোচনা করেছে বিশ্ব পরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জাপান গিয়েছেন যুদ্ধের সরঞ্জাম আনার জন্য। স্বাধীন উপমহাদেশ পাওয়ার সময় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্ব পায় নায় বাঙালিরা।

অবিভক্ত বাংলার জনগণ বিশেষভাবে বাংলাদেশের বাঙালিদের দুর্ভাগ্য উপমহাদেশ থেকে যে মুহুর্তে ইংরেজরা দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে সে সময় ১৯৪৭ সালে আমরা হারিয়েছি দেশবন্ধু সিআর দাস, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পৃথিবীতে নাই। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারা হয়েছে আর বাঙালিদের একমাত্র নেতা শেরে বাংলা নেতৃত্বকে না মেনে যারা শেরে বাংলা আর্শিবাদ পেয়েছে তারা একটি খারাপ লোক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর পক্ষ নিয়েছেন তার পরিনতিতে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকে খেসারত দিতে হয়েছে। অবিভক্ত বাংলার নেতা ও বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলার মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম, সোহরাওয়ার্দীর আশির্বাদের নেতা খাজা নাজিম উদ্দিন। তিনি ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন সোহরাওয়ার্দীর ছেরে দেওয়া আসনে নির্বাচিত হয়েছে মওলানা আবুল হামিদ খান ভাসানী ও সে সময়ের তুখোড় যুবে নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিব ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক শীর্ষে।

শেরে বাংলা ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের পরই বুঝতে পেরেছিলেন এই জিন্নাহ কে পূর্ব বাংলার কোন কাজে আসবে না বরং ক্ষতি হবে, তার প্রতিফলন হলো পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের বাঙালিদের) জনগণের উপর নির্যাতন নিপিড়ন করেছে।

পাকিস্তানের গভার্ণর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ খাম-খেয়ালিপনার শাসন এবং জিন্নাহর মৃত্যুর পর লিয়াকত আলী ও ইসকান্দার মির্জার একগোয়েমী শাসন ও আইয়ুব শাহীর স্বৈরাচারী সামরিক শাসন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মেনে নিতে পারে নাই। উর্দুকে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্র ভাষা করার ভাষন প্রতিবাদে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে; তাঁর নেতৃত্ব দিয়েছেন শেরে বাংলা, মাওলানা ভাসানী, এডভোকেট ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, শেখ মুজিবুর রহমান, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, এডভোকেট কাজী গোলাম মাহবুব ও বাহাউদ্দিন চৌধুরী।


ভাষা আন্দোলনে আরো যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন এডভোকেট গাজীউল হক, রাজনীতিবিদ অলি আহাদ, আব্দুল মতিন, সাফিয়া খাতুন ও রওশনারা বেগম সহ অনেকে। ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছে রফিক, সফিক, ছালাম, জব্বার ও বরকত সহ আরো অনেকে এই শহীদরা আমাদের পথ প্রদর্শক।

ভাষা শহীদের স্মরনে যারা কবিতা, গান লিখেছেন গান গেয়েছেন তারা হলেন ২১ এর গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, কন্ঠ শিল্পী আব্দুল লতিফ, কন্ঠশিল্পী আলতাফ মাহমুদ, কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান সহ আরো অনেকে। ভাষা সংগ্রামের পরই শুরু হয় পূর্ব বাংলার বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, আন্দোলন, লড়াই। এই আন্দোলন সংগ্রাম ও লড়াই এ মূল নেতৃত্ব দেন মহান নেতা শেরে বাংলার। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য পায় শেরে বাংলার নেতৃত্বে। শেরে বাংলা পূর্ব বাংলার প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শেরে বাংলা বাঙালিদের বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ১ বৈশাখকে ও ভাষা শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারীকে সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন এবং বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন।  

আজ বাঙালিদের ভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে সেরা জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পাকিস্তানের শাসন শোষন নির্যাতন নিপিড়ন থেকে পূর্ব বাংলাকে (পূর্ব পাকিস্তান) স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ মুজিব বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা পেশ করেন। এই ৬ দফাকে পাকিস্তানের শাসক শোষকরা মেনে নিতে পারে নাই। বিশেষভাবে স্বৈরাশাসক জেনারেল আইউব খান শেখ মুজিবকে ১নং ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২নং আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে ৩৫ জন বাঙালিদের বিরুদ্ধে। এই মামলার প্রতিবাদে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আইউবশাহী শেখ মুজিব সহ সকল আসামীদের মুক্তি দেয় ও মামলা প্রত্যাহার করে। আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমেনা বেগম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন কামরান, ছাত্র লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক ও সাধারণ সসম্পাদক নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারসহ বাঙালি প্রেমিক ছাত্র যুবক জনতা।

১৯৬৯ সালের অভূত্থানের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুকিবুর রহমানের নেতৃত্বের কাছে বাঙালিরা আস্থা অর্জন করে। বাঙালিরা ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবকে ভোট দেয় এবং পাকিস্তানের একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়। কিন্তু জিন্নাহ, লিয়াকত আলী, ইস্কান্দার মির্জা, আইয়ুব শাহীকে অনুকরণ করে বাঙালিদের শাসন না মেনে জেনারেল ইয়াহিয়া শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালি নিরাস্ত্র জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। আমরা বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় লাভ করি। আজ যারা ১৯৪৮ থেকে ৫২ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, সামরিক শাসক আইয়ুব শাহীর শাসকের বিরোধী আন্দোলন ১৯৫৮। ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলন, ৬৯ গণঅভ্যূত্থানের আন্দোলন, ৭০ নির্বাচন ও ১৯৭১ মহান স্বাধীনতাকে যারা মানেনা তারা স্বাধীনতা বিরোধী। স্বাধীনতার পর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশ শাসন করে নিয়মনীতি না মেনে তারা হলেন জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা তারা প্রতিটি স্তরে দূর্নীতি করেছে, বৈষম্য তৈয়ার করেছে, সেই কারনই ২০২৪ সালে ছাত্র জনতার অভূত্থান হয়েছে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা চেতনাকে ধার করি ও ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী অর্ভূত্থানকে অআগামী দিনের দেশের উন্নয়ন মাপকাঠি হউক এবং দেশ হবে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দূর্নীতি ঘুষ টাকা পাচার মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক আইনের শাসনের পরিবেশ বান্ধব বিশ্বমানের আধুনিক বাংলাদেশ। সবাই মিলে শপথ নেই বাঙালি জাগরণ ১ বৈশাখ সেই চেতনাই চলার পথে পাথেয় হবে। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

 

লেখক :সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ।


আমার বার্তা/এম এ জলিল/এমই