রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে দিতে হবে: ফখরুল

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজ ৫২ বছর পর এখানে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে, আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা একটা ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিইউজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো শেষ। বিচারকরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা শেষ করেছেন।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি, বরং ঘোরতোর অন্ধকারে দেশ- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এক জোট হয়ে লড়াই না করলে কিভাবে বের হব তা জানি না। আজকে জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জাতি বিপন্ন। জাতীয় ঐক্য দরকার।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্নয়ক জোনায়েদ সাকি, কবি আব্দুল হাই সিকদার, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম. আব্দুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান, মুরসালিন নোমানী, প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসান মুর্শেদ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

এবি/ওজি