সেলিমা রহমান

একজনের হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

সরকার পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে অভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে সারাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছেন। জনগণ তাদের হ্যাডম দিয়ে আপনাদেরকে রুখে দেবে। একজনের (শাহাজাহান ওমর) হ্যাডমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং সরকারের নির্বাচন নির্বাচন নাটক রুখে দিতে হবে।

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসকদের এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

সেলিমা রহমান বলেন, আমরা কোন দেশে বাস করছি? আজকে গুম, খুন ও মানবাধিকার লংঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করতে দেয়নি। সরকার এতো ভীতু যে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেয় না।

তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের জীবন চলে সেই পুলিশ বেআইনিভাবে দমন পীড়ন ও গ্রেফতার করছে। তারা গণতন্ত্রের আন্দোলন রুখে দিতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শান্তি বাহিনীর মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা যখনই সমাবেশ দিই তখনই তারা পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে। শান্তি বাহিনীর মতো বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মনে রাখবেন এটাই শেষ দিন নয়।
 
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার দেশের মানুষের ভাত ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ২২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে সারাদেশে গ্রেফতার করেছে। সাড়ে ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিকেও সাজা দিয়েছে! কী ভয়ংকর পরিস্থিতি? আজকে একই মামলায় মির্জা ফখরুলসহ অনেকেই কারাগারে আর একই মামলায় শাহজাহান ওমরের জামিন মিলে! কী প্রহসন। এটা তো প্রমাণিত যে, বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এসব করা হয়েছে। তবে এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
 
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, দেশে জুলুম ও জাহেলিয়াতের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। আজকে মায়েরা রাজপথে নেমে তাদের সন্তান বা স্বামীকে ফিরে পেতে কান্না করছে। এই মায়েদের কান্নার আওয়াজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকে এই সরকার যে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের মুক্তি ও নৌকা প্রতীক দিয়ে প্রমাণ করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, আজ দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পরও মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আজকে দেশের চরম দূরাবস্থা দূর করতে পেশাজীবীসহ দেশের জনগণকে রাজপথে নেমে এসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আগামী দিনের একতরফা নির্বাচন রুখে দিন।

ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন— জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম, উপদেষ্টা ডা. রফিকুল কবির লাবু, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব’র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আমীরুল ইসলাম কাগজী, ডা. শহীদুল আলম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. শহীদ হাসান, ডিইউজের রাশেদুল হক ও সাঈদ খান, ডা. এমএ কামাল, প্রকৌশলী মো. হানিফ, ডা. জাহানারা লাইজু, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।


আমার বার্তা/জেএইচ