যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই: কাদের

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ১৮:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার নিষ্ঠুর ও বর্বরতম হত্যাকে গণহত্যা বলতে চায় না তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

বুধবার (২২ মে) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখলাম, ডোনাল্ড লু আসলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করলেন এখানে মিটিং করে। সেখানে আবার, তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেলো। আগে সাতজন এখন আবার একজন যুক্ত হলো।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দুর্দশী লিডারশীপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ' প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দু:খ পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় ‘বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন— ‘বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই’। আপনাদের কাছে ভারত যদি শত্রুরাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনের তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনও হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রকে?

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন— ‘বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই’। আপনাদের কাছে ভারত যদি শত্রুরাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনের তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনও হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রকে?

আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। গত দুই তিনদিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধু রাষ্ট্রের...।

তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজীম) যারা হত্যা করেছে যে ফ্ল্যাটটিতে, সেটি বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটি নিয়ে... ‘যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা’, এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন নয়।

 

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

 

আমার বার্তা/এমই