দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১০:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ও তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশানে এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তিনি।
বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তিন বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিং পুলসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ওই বাড়িতে। এত বছর বাড়িটি তার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন।
আগে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি বাড়িটি ছেড়ে দেন। এরপরই তারেক রহমান থাকার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাড়িটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। উল্লেখ্য এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সেনানিবাসের ওই বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে খালেদা জিয়াকে সেখানে থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এবং তার তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ইতোমধ্যে তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।
এছাড়াও ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনানিবাসে প্রায় ৯ বিঘা (২ দশমিক ৭২ একর) জমির ওপর নির্মিত আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রথমে নোটিশ, পরে আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর খালেদা জিয়া কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে ছিলেন। ২০১২ সালে ২১ এপ্রিল ‘ফিরোজা’য় উঠেন তিনি।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে আর কোনো আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই।
আমার বার্তা/জেএইচ