প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে: নাহিদ ইসলাম
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট হোটেল সৈকতে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সারা দেশে পদযাত্রা করছি, সব শহিদ পরিবারদের সঙ্গে বসতেছি। তাদের সবারই কমবেশি একই সমস্যা। কিছু জায়গায় সমস্যাগুলো কম, সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছেছে বা খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন আমরা তাদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চাপ তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, উদ্যোগগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি করছে এবং সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলা এখনও হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে। এবং শহিদ পরিবাররা যে সম্মান পাওয়ার কথা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সে অভিযোগগুলো শুনি।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি অভ্যুত্থানে আমরা ছিলাম, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জায়গা থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার মনে করি। অবশ্যই শহীদ পরিবারদের—শহীদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।
নাহিদ বলেন, আমরা আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে সারা দেশে যাচ্ছি এবং সবার কথা শুনছি। আমরা দলের পক্ষ থেকে একটা শহীদ কল্যাণ-আহত সেল করছি, সেটার অধীনে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যেখানে যাচ্ছি আমরা পুনরায় সবার নাম্বারগুলো নিচ্ছি। এটি আমরা স্থানীয় একজন সংগঠনের মাধ্যমে করছি। জুলাইয়ের রাজনৈতিক যে ঘোষণাপত্র বা সনদ, সেটা আমরা সব সময় বলছি এবং ৩ আগস্টে সেটা নিয়ে আমরা ঢাকায় বড় প্রোগ্রাম করব। সরকার যাতে এটা দেয়। সরকারও বলছে ৫ আগস্টের মধ্যে দেবে।
শহিদদের পরিবারকে উপদেষ্টা কর্তৃক অসম্মানের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর কোন উপদেষ্টা আপনাদেরকে অসম্মান করছে সেটা আমরা জানতাম না—সেটা আমরা জানব, প্রতিবাদ জানাব। আপনাদের কাছে দোয়া চাই যাতে আমরা ভালোভাবে চলতে পারি, সফল হতে পারি এবং আপনাদের দোয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাদের জন্য চেষ্টা করব।
এসময় চট্টগ্রামের শহীদদের পরিবার ও দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই