উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমান পরিবারের বিকল্প নেই: তৃণমূল
ঢাকা-২ কেরানীগঞ্জ মডেল
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
কায়সার হাসান:

কেরানীগঞ্জের উন্নয়নে আমান পরিবারের বিকল্প দেখছেনা বিএনপি'র তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া যখন সারাদেশে বইতে শুরু করেছে, রাজনৈতিকভাবে তারই অংশ হিসেবে ঢাকা-২ কেরানীগঞ্জ মডেল আসনেও পিছিয়ে নেই বিএনপি। এই আসনে জনগণের আস্থার প্রতীক আমান পরিবার।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার বিদায়ের পর বিরোধী শিবিরে ফিরেছে স্বস্তির নি:শ্বাস। অন্তরর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুছ যখন ঘোষণা দিলেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হবে। সেই লক্ষ্যেই একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর পালে নির্বাচনী আমেজ লাগতে শুরু করছে।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সময়ের দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঢাকা-২ আসনে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি আছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
আমান পরিবার সূত্রে জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ সতেরো বছর একনায়কতন্ত্র শাসনামলে সারাদেশে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় জেল জুলুম, অত্যাচার, র্যাব-পুলিশ ও যৌথবাহিনীর নির্যাতনে বিনাবিচারে ক্রসফায়ার হত্যা,গুম খুনের ফলে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র নেতাকর্মীরা দিশেহারা হয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়ে।
তৎকালীন তাঁদের মৌলিক অধিকারটুকু হারিয়ে ফেলেছিলেন।
আওয়ামী সরকারের অন্যতম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বিএনপি'র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক ডাকসু ভিপি ঢাকা -২ ও ৩ কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ ও কেরানীগঞ্জ মডেল আসনের উন্নয়নের রূপকার মা মাটি ও সাধারণ মানুষের নেতা আমান উল্লাহ আমান।
দীর্ঘদিন রাজপথে নির্যাতিত হয়েও ব্যাক্তিগতভাবে নিজের নির্বাচনি এলাকায় তৃণমূলের সাধারণ মানুষের সুখে দু:খে পাশে ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রমতে জানা যায়, বিএনপি সরকারের আমলে বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে বাবুবাজার-কদমতলি ব্রিজ নির্মাণ করে কদমতলি থেকে কোনাখোলা দিয়ে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ, বসিলা-ওয়াশপুর ব্রিজ নির্মাণ করে আরশিনগর দিয়ে ঘাটারচর-আটিবাজার- কলাতিয়া- হযরতপুর- পাড়াগ্রাম সড়ক নির্মাণ করে রাজধানী ঢাকা শহরের সাথে দ্বীপ উপজেলাগুলো কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারকে সংযোগ স্থাপন করেছিলেন একমাত্র আমান উল্লাহ আমান।
ভাঙ্গাবাড়ি ব্রিজ,কলাতিয়া ব্রিজ, আলীপুর ব্রিজ, তুলশীখালী ব্রিজ,ঢালিকান্দী ব্রিজসহ অসংখ্য কালবার্ড, পিচঢালা রাস্তা নির্মাণ শিক্ষা ব্যবস্থা,নরন্ডিতে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল নির্মাণ করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, আলোর নিচে অন্ধকার বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তিনি করেছেন আলোকিত।
শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক ও ধর্মীও অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল চোখে পড়ারমতো। আমান উল্লাহ আমান এর অবদানে অজোপারাগাঁ কেরানীগঞ্জ আজ মডেল টাউনে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের সাধারণ জনগণ নবীন প্রবীণরা মনে করেন, আমান ভাইয়ের ছোঁয়া না পেলে এই এলাকায় রাস্তাঘাট উন্নত হতোনা যোগাযোগ ব্যবস্থা এতো উন্নত হতোনা জায়গা-জমির মূল্য বৃদ্ধি পেতোনা।
দশ হাজার টাকা কাঠা জমি আজ কোটি টাকা কাঠায় উন্নিত হয়েছে। তাঁর সহযোগিতায় আমাদের কেরানীগঞ্জ আজ মডেল শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটা আমাদের অতি গর্বের বিষয়।
যে নেতা নিজে বিগত আওয়ামী সরকারের অমানুষিক জুলুম নির্যাতনের শিকারের পরও সাধারণ জনগনের অনেক কাছে থেকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলো এবং এখনো সবসময় র্খোঁজ খবর রাখেন, তিনি একজন আমান ভাই হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। প্রিয় আমান ভাই।
একনজরে আমান উল্লাহ্ আমান এর পরিচয়:
আমান উল্লাহ্ আমান ১৯৬২ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নে পিতা মেঘু মিয়া ও মাতা করিমন নেসা দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী সাবেরা আমান পুত্র ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি।
তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে আমান উল্লাহ্ আমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি বিএনপি'র ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯০-৯১ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের নেতা হিসেবে তিনি সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।
নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
আমার বার্তা/এমই