ই-পেপার বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

‘কথা নিয়ে রাজনীতি করা যায়, ফ্যাসিজমের সামনে জেলে যেতে পারে না সবাই’

আমার বার্তা অনলাইন
১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৪

‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন এক বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনীতির ভেতরে-বাইরে। তার দাবি, সারাদেশ নয়, নিজ এলাকার এক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক মামলা হলে তা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন। সারাদেশের মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেননি। তারপরও সমালোচনা থামেনি। এমন অবস্থায় নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সমালোচনাকারীদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন, কথা নিয়ে অনেক রাজনীতি করা যায়, ফ্যাসিজমের সামনে দাঁড়িয়ে জেলে যেতে পারে না সবাই!

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জেলজীবনের স্মৃতি, শতাধিক মামলার আসামি হওয়া থেকে শুরু করে সারাদেশে বিপুলসংখ্যক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলার কথা তুলে ধরেন। কারাগারের ভেতরে-বাইরে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করেছেন। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা, শাস্তি নিশ্চিতেরও কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

হাতের কারুকাজ সম্বলিত একটি ব্যাগের ছবি শেয়ার করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমার মেয়ে যখন আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল, ঢাকা জেলে। এই ব্যাগটা আমি ওকে দিয়েছিলাম। ব্যাগটা জেলের ভিতরে এক বন্দী বানিয়েছিল তার কাছ থেকে কিনেছিলাম। জানিনা, কাউকে কল্পনায় রেখে সে বানিয়েছিল কি না এই ব্যাগটা। প্রশ্ন করা হয়নি ছেলেটাকে।

আওয়ামী লীগ আমলের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের জেলে লাখ লাখ কর্মী বন্দী ছিল, মিথ্যা মামলায়। আমার নিজের জেলার হাজার ছেলের পুরো জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমি নিজে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এর করা ১১০ এর বেশি মামলার আসামি ছিলাম। ময়লার গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে হত্যা মামলা। সব মিথ্যা মামলা। আড়াই বছরের বেশি জেলে ছিলাম। কোর্টে কোর্টে আমার অসুস্থ স্ত্রী দৌড়ে গেছে। আসিফ নজরুল একবার পত্রিকায় লিখেছিলেন একটি কলাম ‘রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল’। জেলে মাটিতেও শুতে হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছে, নির্বাচনে আসুন, মুক্তি পাবেন। আমরা প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। ৭ বার জামিন রিজেক্টেড হয়েছে।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি জেলে দেখেছি আমাদের ছেলেদের উপর কী অত্যাচার হয়েছে। সারা শরীরজুড়ে অত্যাচারের দাগ। এদের অনেকের সারা জীবন, ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে জেলে! পড়াশোনা হয়নি, সংসার হয়নি। এদের পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। যারা মাঠের রাজনীতি করে না, তারা কোনোদিন জানবে না এদের স্ট্রাগল। কথা নিয়ে অনেক রাজনীতি করা যায়, ফ্যাসিজমের সামনে দাঁড়িয়ে জেলে যেতে পারে না সবাই।

মির্জা ফখরুল লিখেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের করা প্রতিটি মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হাসিনার এবং তার মাফিয়া বাহিনীর প্রতিটি অপরাধের বিচার করতে হবে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। আমরা প্রকৃত অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই মামলা করবো এবং শাস্তি নিশ্চিত করবো। যে যেই অন্যায় করেনি, তাকে সেই অন্যায়ের জন্য হয়রানি কেন করা হবে? কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার নাম রাজনীতি না। আমরা ইনসাফের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আমার বার্তা/জেএইচ

কোনোভাবেই চাই না যে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল হোক: রাশেদ খান

আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা, অর্থের জোগানদাতা এবং ২০২৪ সালের ‘ডামি’ নির্বাচনে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা যেন

ড. ইউনূসের দ্বৈত ভূমিকায় স্বার্থের সংঘাত দেখছেন সালাহউদ্দিন

সরকারের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বৈত ভূমিকায়

অনশনের কারণে কিডনিতে জটিলতা: তারেক

আমজনতা দলের নিবন্ধনের দাবিতে প্রায় ১৩৩ ঘণ্টা অনশন করেছিলেন দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান। দীর্ঘ এই

অন্তর্বর্তী সরকারও হাসিনার মতো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে: আমীর খসরু

অন্তর্বর্তী সরকারও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো জোর করে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় বলে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তিপণ নেওয়ার পর শিশুহত্যা: আসামি মকবুলের ফাঁসির আদেশ

আমেরিকায় উড়াল দিলেন সোহেল তাজ

কিশোরগঞ্জে বাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন হেলপার

রাজধানীর বাড্ডায় যুবককে গুলি করে হত্যা

গাজীপুরে এক রাতেই তিন বাসে দুর্বৃত্তের আগুন

বাণিজ্য উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম

কোনোভাবেই চাই না যে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল হোক: রাশেদ খান

নতুন করে ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৭৬

ড. ইউনূসের দ্বৈত ভূমিকায় স্বার্থের সংঘাত দেখছেন সালাহউদ্দিন

চীন থেকে অস্ত্র কিনলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি হস্তান্তরের নির্দেশ

১১৪ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরল আরও ২ শিক্ষার্থী

আগামী বছরই শেষ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি, বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ ইউনিয়ন আ.লীগের নেতা আটক

নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সুরাহা চান ১-১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকগণ

সৌদিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরেও ১৫০০ ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

গাজীপুর ৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ

সাভারের আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, গুলিবর্ষণ

রাজবাড়ীর দৌলত‌দিয়ায় এক কাত‌ল বি‌ক্রি হয়েছে ৫৩ হাজারে