জিয়াউর রহমান হত্যায় হাসিনা-এরশাদ জড়িত: কর্নেল অলি
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল (অব) ড. অলি আহমদ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও এরশাদ জড়িত।
সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. অলি আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত। হাসিনা তো পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ধরা পড়েন আখাউড়া সীমান্তে।
শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের হত্যার পর পুরা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আনন্দ উল্লাস করে সাধারণ জনগণ যে, নমরুদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। শেখ মুজিবুরের পরিবার ছিলেন বাংলাদেশের জন্য ধ্বংসের পরিবার। পরবর্তী পর্যায় হাসিনাকে দেখে বোঝা যায়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি তো ছিলেন সর্বসর্বা। সামরিক বাহিনীর শক্তি ছিল দুর্বল। আমাদের কিছু করার ছিল না।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার হত্যার সময় হাসিনা জার্মানে ছিলেন। ওখান থেকে হুমায়ূন রশীদের সহয়াতায় ভারতে যান। ভারতের দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। দেশে আসার ১৭ দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর সঙ্গে এরশাদও জড়িত।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার পর শেখ হাসিনা ও সাজেদা চৌধুরি আখাউড়া সীমান্তে ধরা পড়েন। আমরা তাদের সম্মানের জন্য এটা প্রকাশ করি নাই।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পর জিয়াউর রহমান মুক্তি পান। এ বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের পর তিনি কোনোটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। সবাই মিলে একটি সরকার গঠন করল মোস্তাকের নেতৃত্বে। মোস্তাক সামরিক শাসন জারি করল। দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়ে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হলো। এ বিষয়ে জিয়ার কোনো হাত ছিল না।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের অঙ্গ রাজ্য হওয়ার জন্য যুদ্ধ করি নাই। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশের জনগণ দেশকে শাসন করবে ও দেশকে সামাল দেবে। অন্যের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না। কিন্তু খালেদ মোশারাফ আওয়ামী লীগের হয়ে ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছিল। যার ফলে শেখ মুজিবুরের মত পরিণতি হয়েছিল তার।
আমার বার্তা/জেএইচ
