সাবেক ও বর্তমান সদস্যেদের স্বেচ্ছাদানে সংগঠনের আর্থিক ভরসা: শিবির সভাপতি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

সাবেক ও বর্তমান সদস্যেদের স্বেচ্ছাদানে সংগঠনের আর্থিক ভরসা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রিয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংগঠনটি টিকে আছে মূলত তাদের সদস্যদের স্বেচ্ছাদানে। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী সকলেই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত অনুদান দেন, যা সংগঠনের প্রধান আর্থিক ভরসা।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজশাহী কলেজ মাঠে অনার্স (২০২৪-২৫) এবং এইচএসসির নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা তুলে ধরেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের ব্যক্তিগত কোনো আয় না থাকলেও অল্প অল্প করে সঞ্চয় ও ভালো কাজের জন্য অর্থ ব্যয়ের মানসিকতাই শিবিরকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। শৈশবে সামান্য টাকা জমিয়ে ভালো কাজে ব্যবহার করার অভ্যাস থেকেই সদস্যদের মধ্যে দানের চর্চা তৈরি হয়েছে, যা পরবর্তীতে সংগঠনের আর্থিক স্থিতি ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রাখে।

জাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালে যাত্রা শুরুর পর সংগঠনের প্রায় পাঁচ দশকের পথচলায় শিবিরের অসংখ্য সাবেক সদস্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে দায়িত্ব পালন করছেন। একাডেমিক ক্ষেত্র, বাণিজ্য, চিকিৎসা, প্রশাসনসহ নানা জায়গায় অবস্থান করা এসব সাবেক সদস্যও নিয়মিত আর্থিকভাবে সংগঠনকে সহায়তা করেন।

তিনি দাবি করেন, শিবিরের আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা কঠোরভাবে বজায় থাকে। বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোপুরি সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা হয়। 

অন্য সংগঠনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘অনেকে দশ টাকা পেলে মাত্র দুই টাকা কাজে লাগায়; বাকিটা হারিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কোনো প্রোগ্রামের জন্য দশ টাকা বরাদ্দ হলে দায়িত্বশীলরা নিজেদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করে এরচেয়েও বেশি ব্যবহার করেন। এতে কাজের মান বাড়ে এবং আল্লাহর বরকতও আসে।’

সভাপতি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়নকে শিবির প্রকৃত বিনিয়োগ হিসেবে দেখে। চাইলে অর্থ অন্যভাবে ব্যয় করা যেত, কিন্তু সংগঠন শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়, এটাই তাদের নীতির মূল সারাংশ। আত্মত্যাগ, স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধ, এই তিন উপাদানের ওপরই শিবির দাঁড়িয়ে আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুইয়া, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, রাজশাহী মহানগর সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক ও সাবেক মহানগর সভাপতি মো. সিফাত উল আলমসহ অন্যরা।

আমার বার্তা/এল/এমই